পুলিশ শিমুলিয়া ঘাট থেকে কয়েক হাজার মানুষকে ফিরিয়ে দিচ্ছে
দিনের বেলা ফেরি চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া সত্ত্বেও শনিবার সকালে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে হাজার হাজার গৃহহীন মানুষের আগমন শুরু হয়েছে। তবে পুলিশের কঠোর অবস্থানের কারণে তাদের শিমুলিয়া ঘাটের প্রবেশদ্বার থেকে ফিরে আসতে বাধ্য করা হচ্ছে।
যাত্রীরা জানিয়েছেন, মধ্যরাতের ঘোষণার বিষয়ে তাদের অনেকেই অসচেতন ছিলেন। তারা ঘাটে এসে দেখেন যে ফেরি বন্ধ রয়েছে এবং পুলিশ তাদের ঘাট এলাকা থেকে উচ্ছেদ করছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) করোনাভাইরাস বিস্তার রোধে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে। সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ফেরি চলাচল শুদু রাতে কেবল চলাচল করবে।
এদিকে, ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে, মাওয়া ক্রসরোড এবং শিমুলিয়া ঘাটের প্রবেশ পথে পুলিশ চেকপোস্টগুলি দেখা গেছে। দক্ষিণাঞ্চলগামী যাত্রীদের এসব টহল পোস্ট থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
শিমুলিয়া ফেরিঘাটের ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক (টিআই) হিলাল উদ্দিন জানান, শিমুলিয়া ঘাট থেকে এক কিলোমিটার দূরে যাত্রীদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। শিমুলিয়া ঘাট এলাকায় কোনও যাত্রীকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। লঞ্চ এবং স্পিডবোটগুলি এত দিন বন্ধ ছিল এবং আজ থেকে দিনের বেলা ফেরি বন্ধ থাকবে তাই কেউ নদী পার হতে পারবেন না।
তিনি যাত্রীদের ঘাট এলাকায় ভিড় না করার আহ্বান জানান।
বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) শাফায়াত আহমেদ জানান, তারা গত রাত থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। তবে সন্ধ্যার পরে কয়টি ফেরি ব্যবহার করা হবে তা তিনি এখনও জানেন না।