• বাংলা
  • English
  • জাতীয়

    আশার বিপরীতে হতাশার চিত্র বেশি।হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধে ২ লাখ ৭১ হাজার মামলার বিচার বিলম্ব

    দেশটির বিচার বিভাগ দ্রুততম সময়ে মামলা নিষ্পত্তির উদাহরণ স্থাপন করছে। অল্প সময়ের মধ্যে হত্যা, ধর্ষণ ও মাদকের কয়েকটি মামলা নিষ্পত্তি করে এবং অভিযুক্তকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়ে বেশ কয়েকটি বিচারক নজির স্থাপন করেছে। অনেক বিচারক ফৌজদারি মামলা দেরিতে নিষ্পত্তি করার নজির থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছেন। এই প্রত্যাশার বিপরীতে, তবে ন্যায়বিচার চেয়ে মানুষের হতাশা আরও বেশি  কারণ এখানে অসংখ্য ফৌজদারি মামলা রয়েছে যা বছরের পর বছর ধরে পড়ে আছে। সময়মতো তদন্ত শেষ করতে না পারায় এবং সাক্ষী হাজির করতে না পারায় এমন পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। এবং মামলার বিচার দেরি করতে অভিযুক্তদের অযথা দেরি করা হয়।

    আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘটনার পরে মামলা দায়ের করা হলে দ্রুত তদন্ত শেষ হয়ে চার্জশিট দাখিল করা হলে বিচার শুরু করার প্রক্রিয়াটি অনেক দূর এগিয়ে যায়। এরপরে সাক্ষীদের উপস্থিতি ও মুলতবি না রেখে সময় মতো বিচার অনুষ্ঠিত হলে অল্প সময়ের মধ্যে যে কোনও মামলা নিষ্পত্তি করা যায়।কুষ্টিয়ায় একটি মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর বিচার মাত্র তিন কার্যদিবসে শেষ হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুন্সী মোহাম্মদ ১৭ নভেম্বর দেওয়া রায়ে মাদ্রাসা সুপার আবদুল কাদেরকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দণ্ডিত করেছিলেন। মশিয়ার রহমান। চলতি বছরের ৪ অক্টোবর ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্তকে একই দিন গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং পরের দিন তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। অভিযোগপত্র দাখিলের পরে ১২ নভেম্বর চার্জ গঠন করা হয়েছিল। এর মধ্যে দু’দিনের সাপ্তাহিক ছুটি হওয়ায় ১৫ নভেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে,বাদী ও আসামীদের পক্ষে যুক্তি ও যুক্তি উপস্থাপনের পরে রায় ঘোষণা করা হয়।

    বাগেরহাটের মোংলায় সাত বছর বয়সী শিশু ধর্ষণ মামলায় অভিযোগ গঠনের সাত কার্যদিবসের মধ্যে রায় ঘোষণা করেছেন জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ আলী নূর আলম। ১৯ ই অক্টোবর দেওয়া ওই রায়ে একমাত্র আসামি আবদুল মান্নান সরকারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।

    খুলনার দৌলতপুরে ১ ডিসেম্বর, ২০০৯ সালে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী হালিমাকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছিল। খুলনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল গত ১১ বছরেও এই মামলার বিচার শেষ করতে পারেনি। বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার খুলনা জেলা সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট মমিনুল ইসলাম বলেছেন, সাক্ষীদের না উপস্থিত হওয়ার কারণে মামলাটি বিলম্বিত হচ্ছে। তিনি বলেন, এক দশকে মাত্র ছয় জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন। কোনও সরকারী সাক্ষী না আসায় বিচার শেষ হচ্ছে না।

    মন্তব্য করুন