মানবতাবিরোধী অপরাধীদের মামুনুল হকের সাফাই
মানবতাবিরোধী অপরাধে সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীকে ফাঁসি দেওয়ার পরে হেফাজত ইসলামের নতুন কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক, খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মো: ২০১৫ সালের ২২ নভেম্বর ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসে তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পক্ষে কর্মী ও গণমাধ্যমের প্রতি অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছিলেন।মাওলানা মামুনুল হকের সেই স্ট্যাটাসের প্রমাণও মিলেছে। সাকা চৌধুরীর ফাঁসি কার্যকরের পর তিনি ‘একদিন এই হত্যার বিচার হবেই’ শিরোনামে ফেসবুক স্ট্যাটাস শেয়ার করেন।সেই মর্যাদায় মাওলানা মামুনুল হক বলেছিলেন, “সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে অবৈধ রায় দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তার ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী বলেছেন যে একদিন হত্যার বিচার হবে।” রবিবার সাকার মরদেহ দাফন শেষে গহিরার তাদের বাসভবন বায়তুল বিল্লালে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় সাকা চৌধুরীর ছোট ভাই জামাল উদ্দিন কাদের উপস্থিত ছিলেন। সকাল দশটায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন শেষে সংবাদ সম্মেলন করা হয় সকাল ১১ টায়।হুম্মাম কাদের বলেছেন, ‘একটি নিরপরাধ মানুষকে অবৈধ রায় দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। দেশের মানুষ একদিন এই হত্যার বিচার চাইবে।হুম্মাম দশ মিনিটের একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “দেশে প্রচুর গুম ও খুন হয়েছে।” অনেকে তাদের প্রিয়জনের লাশ খুঁজে পাচ্ছেন না। আমরা সেই ক্ষেত্রে ভাগ্যবান। আমরা আমাদের বাবাকে সম্মানের সাথে কবর দিতে পেরেছি। ‘সংবাদ সম্মেলনে নেজামে ইসলামী পার্টির যুগ্ম মহাসচিব আবদুর রহমান চৌধুরী ও সাকার স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।‘আমার প্রশ্ন, এমনকি মৃত্যুর মুখেও যারা তাদের অবস্থান থেকে একটি চুল সরিয়ে দেয়নি, বরং তাদের অপমান করার জন্য সর্বশেষ উপায় হিসাবে জীবনের ভিক্ষার নামে নাটক মঞ্চস্থ করেছিল। আপনি চেয়েছিলেন তারা আপনাকে প্রণাম করুক। তারা ফাঁসির ফাঁদে যাওয়ার আগেও তারা অটল ছিল। এদিকে, ১৯ নভেম্বর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে একটি বিক্ষোভ চলাকালীন মামুনুল হক দেশের সমস্ত মুসলিম নেতার ভাস্কর্য বা মূর্তি অপসারণের দাবি জানিয়ে বলেছেন, দেশের মুসলমানরা এই প্রতিমা সংস্কৃতি অনুসরণ করবে না। ‘তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু মরহুম শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতি জাতীয় নেতা হিসেবে আমাদের পরিপূর্ণ শ্রদ্ধা রয়েছে। আমরা চাই না একজন মরহুম, একজন মৃত মুসলমানকে নিয়ে এমন কোনও কার্যকলাপ পরিচালনা করা হোক, যে কার্যকলাপের কারণে কবরের মধ্যে বঙ্গবন্ধুকে আল্লাহর পক্ষ থেকে কোনও আজাবের সম্মুখীন হতে হয়।’