রাশিয়া-ইউক্রেন উত্তেজনা। রাশিয়া পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে

রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট ঘনীভূত হচ্ছে। রাশিয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক মহড়ায় পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা করেছে। মহড়ার সময় শুধু পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্রই নয়, হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক এবং ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রও পরীক্ষা করা হয়েছিল। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই মহড়ার তদারকি করেন।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে যে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক প্রকাশিত একটি ভিডিওতে একটি রাশিয়ান TU-95MS বোমারু বিমান দেখা যাচ্ছে। তবে ঘটনাস্থল রাশিয়ার অবস্থান নিশ্চিত করা যায়নি।
এদিকে, ওয়াশিংটন ইউক্রেনের সীমান্তে সৈন্যদের অগ্রসর হওয়া এবং ইউক্রেনের দিকে অগ্রসর হওয়ার অভিযোগ করেছে। পশ্চিমে যুদ্ধের আশঙ্কার মধ্যে, G7 পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বলেছেন যে তারা ইউক্রেন সীমান্ত থেকে রাশিয়ান সৈন্য প্রত্যাহারের কোন লক্ষণ দেখতে পাচ্ছেন না এবং পরিস্থিতি নিয়ে “গভীরভাবে উদ্বিগ্ন”।
মিউনিখ সম্মেলনে, ন্যাটোর মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ বলেন, মস্কো ন্যাটোর দাবির মুখোমুখি হচ্ছে, এটা জেনে যে জোট তাদের পূরণ করতে পারবে না। আর ইউক্রেন সীমান্ত থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহারের কোনো লক্ষণ নেই।
শনিবার, পূর্ব ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চলের দোনেস্ক এবং লুহানস্কে রাশিয়াপন্থী নেতারা কিয়েভের হামলার ভয়ে পূর্ণ সেনা সমাবেশের নির্দেশ দেন। যদিও পশ্চিমারা একথা বলছে, রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণের অজুহাত হিসেবে এই ভুয়া সংকটকে ব্যবহার করতে পারে।
এদিকে, ফ্রান্স এবং জার্মানি, সীমান্তের কাছে কিয়েভ-মস্কো দ্বন্দ্বের অভিযোগের মধ্যে, সবাইকে এবং তাদের কিছু নাগরিককে ইউক্রেন ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। অন্যদিকে, মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন বলেছেন যে রুশ সেনারা “সীমান্তের কাছাকাছি” যেতে শুরু করেছে।
লিথুয়ানিয়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে অস্টিন বলেন, আমরা আশা করি (পুতিন) যুদ্ধের দ্বারপ্রান্ত থেকে ফিরে আসবেন। ইউক্রেন আক্রমণের প্রয়োজন নেই।