রাজনীতি

আমরা বিএনপিও নই, জামায়াতও নই: হাসনাত আবদুল্লাহ

দক্ষিণাঞ্চলের জাতীয় নাগরিক দলের (এনসিপি) প্রধান সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, জরিনা দেখিয়ে এখন সে বলছে তাকে সাকিনাকে বিয়ে করতে হবে। আমরা শুরু থেকেই বলেছি যে সার্টিফিকেট আগে দেখাতে হবে। তারপর আমরা সিদ্ধান্ত নেব যে স্বাক্ষর করব কি না। তারা তখন আমাদের বিরোধিতা করেছিল। জুলাই মাসের সার্টিফিকেটে স্বাক্ষর করার পর যদি কেউ বলে যে তাদের দেখানো হয়নি, তাহলে তা এমন ছিল না; তাহলে এর দায় আমরা কেন নেব?
দলের কার্যক্রম ত্বরান্বিত করার জন্য গতকাল শনিবার (১ নভেম্বর) বিকেলে পটুয়াখালী জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘গণভোট সংস্কার বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া দ্রুত করার নির্দেশ দিতে হবে। এই নির্দেশ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেবেন। কিন্তু অনেকেই চুপ্পুর কাছ থেকে এই নির্দেশ নিতে চান। হাসিনার আমলে ২০০০ মানুষ শহীদ হয়েছেন, অনেক মানুষ আহত হয়েছেন; এখন বিপ্লবের সার্টিফিকেট নিতে আমাদের চুপ্পুতে যেতে হবে? এর চেয়ে না খেয়ে মরে যাওয়া ভালো। যদি চুপ্পুর কাছ থেকে এই নির্দেশ নিতে হয়, তাহলে হাসিনার কাছ থেকে কেন নয়? গণঅভ্যুত্থানকে বিতর্কিত করার চেষ্টা এটা।’
কার সাথে জোট গঠন করবেন এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা বিএনপিও নই, জামাতও নই, আমরা তাদের সাথে আছি যারা দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কাজ করবে।’
এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব ও পটুয়াখালী জেলার প্রধান সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম মুসার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এনসিপি বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন, এনসিপির যুগ্ম প্রধান সংগঠক ড. মাহমুদা আলম মিতু এবং এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব ফয়সাল মাহমুদ শান্ত।
এ সময় কেন্দ্রীয় নেতারা স্থানীয় নেতাদের কথা শোনেন এবং তাদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন। এনসিপির এই সমন্বয় সভা ঘিরে জেলার নেতাকর্মীদের মধ্যে যথেষ্ট উত্তেজনা লক্ষ্য করা যায়। দুপুর থেকে তারা মিছিল সহকারে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে পৌঁছান।