হাসিনার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে ট্রাইব্যুনালে নাহিদ ইসলাম
জনগণের বিদ্রোহে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়েছেন জাতীয় নাগরিক দলের (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি আজ মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ট্রাইব্যুনালে হাজির হন। তবে মাহমুদুর রহমানের জেরা সম্পন্ন না হলে আজ নাহিদ সাক্ষ্য দেবেন না। এর আগে, গত সোমবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ট্রাইব্যুনালে মাহমুদুর রহমানের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছিল। আজ সাক্ষ্য সম্পন্ন না হওয়ায় তা আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছিল। সাক্ষ্য গ্রহণের পর, মাহমুদুর রহমানের জেরা আজও অব্যাহত রয়েছে। শেখ হাসিনা এবং কামালের পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন তাকে জেরা করছেন। এরপর নাহিদ ইসলামের সাক্ষ্য গ্রহণের কথা রয়েছে। গত ৯ সেপ্টেম্বর, ১৪তম দিন পর্যন্ত এই মামলায় ছয়জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। এখন পর্যন্ত ট্রাইব্যুনালে মোট ৪৬ জনের সাক্ষ্য রেকর্ড করা হয়েছে। গত ৮ সেপ্টেম্বর তিনজন সাক্ষ্য দেন। গত ২ সেপ্টেম্বর, মামলার আসামি এবং সরকারি সাক্ষীতে পরিণত হওয়া প্রাক্তন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ৩৬ নম্বর সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন। গত ৪ সেপ্টেম্বর তার জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হয়। তিনি ক্ষমা চেয়ে বলেন, শেখ হাসিনা এবং আসাদুজ্জামান খান কামালের নির্দেশে জুলাই-আগস্টে গণহত্যা চালানো হয়েছিল। একই সাথে তিনি ট্রাইব্যুনালের সামনে অনেক অজানা তথ্য তুলে ধরেন। আর গত ১ সেপ্টেম্বর, সাক্ষ্যগ্রহণ ও জিজ্ঞাসাবাদের ১০তম দিন শেষ হয়। আজ ছয়জন জবানবন্দি দিয়েছেন। তাদের মধ্যে চিকিৎসক, সাংবাদিক এবং প্রত্যক্ষদর্শী রয়েছেন। সাক্ষীদের জবানবন্দিতে গত বছরের জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় দেশজুড়ে পরিচালিত গণহত্যার ভয়াবহ বর্ণনা প্রকাশ পেয়েছে এবং শহীদ পরিবার আর প্রত্যক্ষদর্শীরা এই সবকিছুর জন্য শেখ হাসিনা, কামাল এবং মামুনকে দায়ী করে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন। উল্লেখ্য যে, ১০ জুলাই ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনা, কামাল এবং মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করার নির্দেশ দেয়। এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আনে। আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্রে মোট ৮,৭৪৭ পৃষ্ঠা রয়েছে। এর মধ্যে ২,০১৮ পৃষ্ঠা রেফারেন্স, ৪,০৫ পৃষ্ঠা জব্দকৃত তালিকা এবং দালিলিক প্রমাণাদি এবং ২,৭২৪ পৃষ্ঠা শহীদদের তালিকা। ৮১ জন সাক্ষী রয়েছেন। ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা ১২ মে প্রধান প্রসিকিউটরের কাছে তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়।