• বাংলা
  • English
  • জাতীয়

    খালেদা জিয়ার খালাসের বিরুদ্ধে আপিলের শুনানি ২ মার্চ

    জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের করা আপিলের শুনানির জন্য আগামী ২ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত।

    আজ রোববার আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মোঃ আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ শুনানির জন্য এই তারিখ ধার্য করেছেন।

    গত ১৬ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।

    এর আগে গত বছরের ২৭ নভেম্বর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে খালাস দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

    রায়ে খালেদা জিয়া, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম ও সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খানকেও মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয়।

    হাইকোর্টে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান।

    এ মামলায় হাইকোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশের পর রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) আবেদন করে।

    গত ২৯ অক্টোবর, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের ৭ নম্বর কক্ষে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক মোঃ আখতারুজ্জামান (বর্তমানে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক) খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন। একইসঙ্গে তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। মামলার অপর তিন আসামিকেও একই সাজা দেওয়া হয়েছে।

    দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য তিন আসামি হলেন- সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী (প্রয়াত), হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র প্রয়াত সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। এ সময় হারিছ চৌধুরী পলাতক ছিলেন। পরে তিনি ইন্তেকাল করেন। বাকি আসামিরা হাইকোর্টে আপিল করেন।

    ২০১০ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা হয়। ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

    তদন্ত শেষে ২০১২ সালে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। সাক্ষ্যগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ হলে দুদক মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের পর গত ১৯ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে রায় ঘোষণা করা হয়।

    Do Follow: greenbanglaonline24