• বাংলা
  • English
  • রাজনীতি

    রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে শহীদ মিনারে ‘গণজামায়েত’ কর্মসূচির ডাক

    আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা ও রাষ্ট্রপতি  মো.সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে জড়ো হবেন বিপ্লবী ছাত্র ছাত্রজনতা  ।

    বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেয়। তারা জানান, মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

    বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন জানিয়েছে, সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ ও ফ্যাসিবাদের বন্ধু ছুঁপুর রাষ্ট্রপতিরপদত্যাগের দাবিতে তারা এই কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।

    উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাষ্ট্রপতিরসাহাবুদ্দিনের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মানবজমিন পত্রিকার সম্পাদক মতিউর রহমান ।

    ‘উনি তো কিছু বলে গেলেন না…’ শিরোনামে প্রকাশিত লেখায় মতিউর  রহমান উল্লেখ করেছেন, তিনি তিন সপ্তাহ ধরে শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্রের বিষয়ে অনুসন্ধান চালিয়েছেন । যেখানে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের পদত্যাগপত্র রাখার কথা  যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগেও খোজ নিয়েছেন  । অবশেষে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের মুখোমুখি হন।

    কথোপকথনের একপর্যায়ে তিনি রাষ্ট্রপতিকে প্রশ্ন করেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগপত্র আপনার কাছে আছে? জবাবে রাষ্ট্রপতি বলেন, শুনেছি তিনি পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু আমার কাছে কোনো দালিলিক প্রমাণ নেই। অনেক চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি। তিনি হয়তো সময় পাননি ।’

    রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘৫ আগস্ট সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন থেকে বঙ্গভবনে ফোন আসে যে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মহামান্য রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে বঙ্গভবনে আসবেন। এ কথা শোনার পর বঙ্গভবনে শুরু হয় প্রস্তুতি। ঘণ্টাখানেকের মধ্যে ফোন এল তিনি (শেখ হাসিনা) আসছেন না।

    রাষ্ট্রপতির এমন বক্তব্যে জনমনে বিভ্রান্তি শুরু হয়।

    তার বক্তব্যকে মিথ্যা ও শপথ ভঙ্গ বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।

    উপদেষ্টা বলেন, রাষ্ট্রপতি বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র তিনি পাননি। এতে মিথ্যা বলা এবং তার শপথ ভঙ্গ করা জড়িত। কারণ, তিনি নিজেই গত ৫ আগস্ট রাত ১১টা ২০ মিনিটে তিন সেনাপ্রধানের সঙ্গে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বলেছিলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী তার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এবং তিনি তা গ্রহণ করেছেন।

    এরপর আপিল বিভাগ তাকে (রাষ্ট্রপতি) সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী উপদেষ্টার এখতিয়ার প্রয়োগ করতে বলেন- এ অবস্থায় কী করতে হবে। তদনুসারে, রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সে সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এবং অন্য সব বিচারপতি একসঙ্গে ১০৬ ধারায় মতামত দেন। তার প্রথম লাইন হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগের পর থেকে দেশের বর্তমান বিচিত্র পরিস্থিতিতে… তারপর অন্যান্য জিনিস,” তিনি যোগ করেছেন।

    এর পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ ও সভাপতির পদত্যাগের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) মশাল মিছিল করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে মশাল মিছিল করেন তারা। মিছিলটি ক্যাম্পাসের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে রাজু ভাস্করে ফিরে আসে।

    এসময় সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ  রাষ্ট্রপতির শাহাবুদ্দিনের উদ্দেশে বলেন, আপনি বঙ্গভবনের বিলাসিতা ছেড়ে নিজের রাস্তা মাপুন।