• বাংলা
  • English
  • বিবিধ

    বাসে গ্যাস নেওয়ার সময় সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, নিহত ৩

    লক্ষ্মীপুরে একটি ফিলিং স্টেশনে বাসে গ্যাস নেওয়ার সময় সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় তিনজন নিহত ও অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

    গত রোববার রাত আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

    নিহতরা হলেন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চরমনসার বাটুমিয়ার ছেলে সুমন হোসেন, বাঞ্চানগর এলাকার সুজা মিয়ার ছেলে। ইউসুফ মিয়া ও হৃদয় হোসেন। ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার আল আমিন জানান, নিহত তিনজন সিএনজি চালক, আহতরা বাস ও সিএনজি চালক।

    এ ঘটনায় আহতদের মধ্যে সুমন হোসেন, রকি ইসলাম, মোহাম্মদ ফাহাদ হোসেন, সিরাজ মিয়া, শান্ত খান ও আব্দুল মালেরেককে শনাক্ত করা হয়েছে। দুর্ঘটনায় দগ্ধ ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাত আড়াইটার দিকে লক্ষ্মীপুর-রামগতিগামী মেঘনা পরিবহন নামের একটি বাস গ্যাস নিতে গ্রীন লাইফ ফিলিং স্টেশনে আসে। এসময় বাসে গ্যাস দেওয়ার সময় হঠাৎ বাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়। ধোঁয়ায় ঢেকে গেলে স্টেশনে থাকা সিএনজি চালকরা দৌড়াতে শুরু করেন। ঘটনাস্থলেই তিন সিএনজি চালকের মৃত্যু হয়।

    পরে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহত তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে অবস্থার অবনতি হলে গুরুতর আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। অন্যদের সদর হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

    লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রঞ্জিত কুমার বলেন, “আমরা এসে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করেছি। আমিও এসে দেখি কয়েকজন আহত। বাসের গ্যাস সিলিন্ডার নিম্নমানের ছিল। সে কারণেই এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে। .

    লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক জয়নাল আবেদীন বলেন, “হাসপাতালে তিনটি মরদেহ এসেছে। এছাড়া অনেককে আহত অবস্থায় আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে অন্তত ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঢাকায় রেফার করা হয়েছে। অনেকের হাত-পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।” .