দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৫ জনকে ২১ বছরের কারাদণ্ড
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় ২৫২ বস্তা পেঁয়াজ লুট, ট্রাক চালক ও হেলপারকে অপহরণ ও চাঁদা দাবির মামলায় পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই)সহ ৫ জনকে ২১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে দুটি ধারায় ৪০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং পরিশোধ না করলে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বুধবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এম আলী আহমেদ এ রায় দেন। জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক কাউন্সেল (পিপি) আবদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, জেলার কাজিপুর উপজেলার নাটুপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মইনুল হাসান ও সলঙ্গা থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মতিউর রহমান খান, সলঙ্গা থানার পাটধারী গ্রামের রেজাউল করিম ওরফে রনি, সবুজ। হাসানপুর গ্রামের আলী ও বাগুন্দা গ্রামের গাড়িচালক আনিস।
এ ছাড়া সদর উপজেলার কান্দাপাড়া গ্রামের সাব্বির আলম ওরফে সবুজকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। সাব্বির আলম ছাড়া বাকি আসামিরা পলাতক। মামলার অপর আসামি মিন্টু ও মনসুর আলী অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস পান।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১০ জুলাই রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সোনা মসজিদ বন্দর থেকে একটি ট্রাকে ২৫২ বস্তা ভারতীয় পেঁয়াজ নিয়ে চালক চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হন। মোরশেদ আলী ও হেলপার রবিউল। ট্রাকটি সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার র্যাব-১২ কার্যালয়ের সামনে আসলে চালক ও হেলপারকে প্রাইভেটকারে তুলে পুলিশের পরিচয়ে অপহরণ করা হয়। পরে আসামিরা চালক ও হেলপারকে অজ্ঞাত স্থানে আটক করে ট্রাকের মালিকের কাছে তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।
এ ঘটনায় ট্রাকের মালিক মজিবুর রহমান বাদী হয়ে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। পুলিশি তদন্ত শেষে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার নাটুপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মইনুল হাসান, সলঙ্গা থানার এএসআই মতিউর রহমান খান আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলা চলাকালে আদালত ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বুধবার ৫ জনকে ৩৬৫ ধারায় সাত বছর ও ৩৯২ ধারায় ১৪ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত। এ ছাড়া আসামি সাব্বির আলম ওরফে সবুজকে দুই বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত।