জাতীয়

ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১ টাকা করে কমল

জুলাই মাসে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটার প্রতি ১ টাকা করে কমানো হয়েছে। তবে অকটেন ও পেট্রোলের দাম অপরিবর্তিত রেখেছে সরকার।

অর্থাৎ জুলাই মাসে পেট্রোল ও অকটেনের দাম অপরিবর্তিত থাকবে। এর আগে মে মাসে পেট্রোল ও অকটেনের দাম লিটার প্রতি আড়াই টাকা বাড়ানো হয়েছিল।

আগামীকাল সোমবার থেকে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম হবে ১০৬ টাকা ৭৫ পয়সা। যা জুন মাসে ছিল ১০৭ টাকা ৭৫ পয়সা। পেট্রোলের দাম প্রতি লিটার হবে ১২৭ টাকা এবং অকটেন বিক্রি হবে ১৩১ টাকায়। সোমবার রাতে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের বিজ্ঞপ্তিতে নতুন দাম ঘোষণা করা হয়। বৈশ্বিক বাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে গত মার্চ থেকে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ শুরু হয়। সে হিসেবে সরকার প্রতি মাসেই নতুন দাম ঘোষণা করছে। এপ্রিল ও মে ঘোষণায় জ্বালানির দামও বাড়ানো হয়েছিল। তবে জুন মাসের প্রজ্ঞাপনে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম কমেছে ১ টাকা।

প্রজ্ঞাপন অনুসারে, ডিজেল, কেরোসিন, অকটেন এবং পেট্রোলের দাম জ্বালানি তেলের মূল্য নির্ধারণের নির্দেশিকাগুলির আলোকে পূর্বনির্ধারিত বা সামঞ্জস্য করা হয়েছে।

গত জুনে গ্রাহক পর্যায়ে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ছিল ১০৭ টাকা ৭৫ পয়সা। পেট্রোল ছিল ১২৭ টাকা। অকটেনের দাম ছিল ১৩১ টাকা।

আন্তর্জাতিক বাজারের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ বাজারে জ্বালানি তেলের দাম নির্ধারণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে গত ২০ ফেব্রুয়ারি জ্বালানি তেলের ফর্মুলার স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণের নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়।

বলা হয়, দেশে ব্যবহৃত অকটেন ও পেট্রোল বেশির ভাগই ব্যক্তিগত গাড়িতে ব্যবহৃত হয়। তাই বাস্তবতার নিরিখে, বিলাসবহুল আইটেম হিসাবে অকটেন এবং পেট্রোলের দাম সবসময় ডিজেলের চেয়ে বেশি। ভর্তুকি চাপ এড়াতে ২০২২ সালের আগস্টে জ্বালানির দাম গড়ে ৪২ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছিল। এরপর ২৩ দিন পর ব্যাপক সমালোচনার মুখে সব জ্বালানি তেলের দাম লিটারপ্রতি ৫ টাকা করে কমানো হয়।

ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রোল ও অকটেনের দাম জ্বালানি দফতর নির্ধারণ করে। এছাড়া, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) নিয়মিতভাবে বিমানে ব্যবহৃত জেট ফুয়েল এবং বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ব্যবহৃত ফার্নেস অয়েলের দাম সমন্বয় করে থাকে।