চিংড়িতে ফিরছে সুদিন।প্রতি মাসেই চট্টগ্রামে রফতানির পরিমাণ বাড়ছে
করোনার ধাক্কা রফতানিতে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করেছে, তবে তিনি ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছে ।চট্টগ্রামে, যেখানে এপ্রিল মাসে মাত্র ৬৯৮.৩৩ টন রফতানি হয়েছিল, নভেম্বর মাসে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬২১.১৭ টন। প্রতি মাসে রফতানি বাড়ছে। পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হওয়ার সাথে সাথে রফতানিকারকরা তাদের ক্ষতি পূষিয়ে নিতে শুরু করেছেন।চট্টগ্রাম মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, করোনার প্রভাব সত্ত্বেও মাছ ও মাছের পণ্য রফতানি ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইন্ডাস্ট্রিতে জড়িতদের জন্য এটি সুসংবাদ। চিংড়ি শিল্পকে এগিয়ে নিতে আমরা একসাথে কাজ করছি। বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সভাপতি আশরাফ হোসেন মাসুদ বলেছেন, করোনার শুরুতে একের পর এক ফিশ রফতানি আদেশ বাতিল হওয়ায় মার্চ থেকে মে পর্যন্ত চিংড়ি এবং অন্যান্য মাছ রফতানি করা যায়নি। আমরা আর্থিকভাবে অনেক ক্ষতি হয়েছি। তবে, জুন থেকে ক্রমাগত বাড়ছে আমরা এখন যে পরিমাণ রফতানি করছি তার ৯০শতাংশেরও বেশি চিংড়ি। আমরা মূলত লবণাক্ত পানির বাগদা, মিঠা পানির গলদা চিংড়ি এবং অন্যান্য সামুদ্রিক চিংড়ি রফতানি করছি।
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রফতানি খাত হিমায়িত চিংড়ি। কক্সবাজার, খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট ও যশোর জেলায় বেশিরভাগ চিংড়ি চাষ করা হয়। বাংলাদেশের রফতানি বাজারের অন্যতম আশাব্যঞ্জক ক্ষেত্র করোনার হুমকির মুখে রয়েছে। সেই সময় অনেক দেশ রফতানি চুক্তি বাতিল করে। হিমায়িত চিংড়ি রফতানিকারকদের মতে, চিংড়ির মূল ক্রেতা হ’ল আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র সহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ। সেখানকার হোটেল এবং রেস্তোঁরাগুলির মালিকরা এই চিংড়ি আমদানি করে। কিন্তু করোনার কারণে হোটেল-রেস্তোঁরাগুলি এপ্রিল-মে মাসে বন্ধ থাকে। সুতরাং আন্তর্জাতিক ক্রেতারা অনেক কেনাকাটা বাতিল করে। যখন কিছু রেস্তোঁরা জুন-জুলাইতে খোলা শুরু হয়, রফতানি আদেশ ক্রমশ বাড়তে থাকে।
সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, এই অঞ্চলের সবচেয়ে বিখ্যাত চিংড়ি এবং গলদা চিংড়ি হ’ল গ্রিস, রাশিয়া, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, বেলজিয়াম, জাপান, ফ্রান্স, তাইওয়ান, ইংল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, সুইডেন, মরিশাস, চীন, ইতালি, ডেনমার্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, অস্ট্রিয়া এবং পর্তুগাল। দেশে রফতানিতে সাফল্য সত্ত্বেও, চিংড়ি রফতানিকারকরা করোনার কারণে শিপমেন্ট না করায় বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হন।