স্পেনের কঠিন পরীক্ষা নেবে মরক্কো
মরক্কো এবারের ‘সারপ্রাইজ প্যাকেজ’। আক্রমণ ও প্রতিরক্ষা সব দিক দিয়েই খুব ভারসাম্যপূর্ণ দল। সেই ভারসাম্য দিয়ে বেলজিয়ামের সোনালি প্রজন্মকে ঘরে পাঠিয়েছে তারা। ‘অ্যাটলাস লায়ন্স’ গত বিশ্বকাপে রানার আপ হওয়া ক্রোয়েশিয়াকে টপকে গ্রুপ সেরা হয়েছে। তাই নিশ্চিত করে বলা যায় স্পেন সহজে হাল ছাড়ছে না। এই কথা মাথায় রেখে আজকের লড়াইয়ের প্রস্তুতি হিসেবে স্পেনের কোচ লুইস এনরিকে ছাত্রদের ১০০০ পেনাল্টি প্র্যাকটিস করেন।
স্পেনের কোচের চিন্তার আরও কারণ আছে। বল পজিশনে অনেক এগিয়ে থাকলেও প্রথম ম্যাচ ছাড়া প্রতিপক্ষের বাউন্ডারিতে তেমন একটা আক্রমণ করতে পারেনি স্পেন। গ্রুপের শেষ ম্যাচে জাপানের বিপক্ষে ২-১ গোলে হেরে অসহায় স্পেন। ম্যাচের শেষের দিকে বিরক্তিকর হয়ে ওঠে তাদের ‘টিকিটকা’। জাপানের সীমান্তে বল নিয়ে যেতে পারেনি তারা। মরোক্কোর কোচ ওয়ালিদ রেগরাগুই নিশ্চিতভাবেই টিকিটাকাকে বাতিল করার জাপানি কৌশল লক্ষ্য করেছেন। ওয়ালিদ ইতিমধ্যে তাদের শক্তি অনুযায়ী কৌশল গ্রহণে বুদ্ধিমত্তা দেখিয়েছে। আজও জাপানিদের মতো টিকিটাকাকে বোতলজাত করার কৌশল নেবেন তিনি।
এনরিকের অধীনে স্প্যানিশদের সবচেয়ে পরিচিত কৌশলটি ছিল যতক্ষণ সম্ভব তাদের পায়ের কাছে বল রাখা। যাতে প্রতিপক্ষ খুব বেশি আক্রমণের সুযোগ না পায়। তা সত্ত্বেও, তারা জার্মানি ও জাপানের বিপক্ষে মোট ৩টি গোল হারায়। আপনার পায়ে বল দিয়ে পাস করা স্প্যানিশদের একটি পুরানো কৌশল। এই কৌশল নিয়ে, তারা ২০১০ বিশ্বকাপ জিতেছিল, তারপরে দুটি ইউরো। যাইহোক, জাভি-ইনিয়েস্তার সেই সময়কাল ছাড়াও, স্পেন তারকাখচিত দল নিয়েও সফল হয়নি। তবে এবার জাভি-ইনিয়েস্তার মতো আরেকটি জুটি পেয়েছে স্পেন। গাভি-পেদ্রি কিশোর জুটি স্পেনকে স্বপ্ন দেখাচ্ছে।
স্প্যানিশ ফুটবলারদের এসব কৌশলের সঙ্গে ভালোই পরিচিত মরক্কো। মরক্কোর প্রধান তারকা আশরাফ হাকিমির জন্ম মাদ্রিদে। পিএসজি তারকা উইং ব্যাক খেলেছেন রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে। স্ট্রাইকার ইউসেফ এন-নেসেরি সেভিলার হয়ে খেলেন, গোলরক্ষক ইয়াসিন বোনোও খেলেন সেভিলার হয়ে। তাই তারা স্প্যানিশ খুব ভালো জানে। এটি মরক্কোর অস্ত্র হতে পারে।
স্পেন কোচ লুইস এনরিকে ভালো করেই জানেন যে তার দল কঠিন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে গোল খরায় ভুগতে পারে। গত বছর ইউরোতে তারা এই সংকটে পড়েছিল। তারা কোয়ার্টারে সুইজারল্যান্ডকে পেনাল্টিতে হারায় কিন্তু সেমিফাইনালে ইতালির কাছে স্পট-কিকে হেরে যায়। যে কারণে এনরিকে এবার এক হাজার পেনাল্টি শট অনুশীলন করেছেন, ‘এক বছর আগে স্পেনের ক্যাম্পে বলেছিলাম, এক হাজার পেনাল্টি মেরে তবেই বিশ্বকাপে যেতে হবে। ছেলেরা তাদের বাড়ির কাজ ঠিকঠাক করেছে।’