একদিনে ট্রাম্পকে দুটি আঘাত।মিশিগান ও জর্জিয়ায় নাটকীয়তার অবসান
ভোটে স্পষ্টভাবে পরাজিত হয়েও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতায় থাকার শেষ নীলনকশাও কার্যত ভণ্ডুল হয়ে গেছে। ট্রাম্প শুক্রবার একদিনে দুটি রাজ্য থেকে চূড়ান্ত আঘাত এসেছে ট্রাম্পের ওপর। এদিন জর্জিয়ায় জো বাইডেনের জয়ের সার্টিফিকেট দিয়েছেন নির্বাচনী কর্মকর্তারা।মিশিগানের কর্মকর্তারা আরও বলেছিলেন যে বাইডেনের জয়ের সার্টিফিকেট দেওয়া হয়নি তার কোনও প্রমাণ নেই। ট্রাম্প এখানে রিপাবলিকান প্রশাসনকে বাইডেনের বিজয়কে ঝুলানোর জন্য নিরর্থক চেষ্টা করার জন্য ব্যবহার করছেন। এদিকে, পেনসিলভেনিয়া রাজ্যে ভোট গণনা স্থগিত করার পক্ষে ট্রাম্পের আইনজীবী আদালতে কোনও প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেননি। সব মিলিয়ে, ট্রাম্পের রাজ্য বিধানসভার ফলাফল পরিবর্তনের আশা ম্লান হয়ে গেছে। তবে ট্রাম্প এখনও পরাজয় স্বীকার করতে পারেন নি। ট্রাম্প দুটি প্রভাবশালী মিশিগান রিপাবলিকানকে হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। রাজ্য সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা মাইক সিরকেই এবং রাজ্য আইনসভার স্পিকার লি চ্যাটফিল্ড শুক্রবার হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সাথে সাক্ষাত করেছেন। ওয়াশিংটনে পৌঁছে বিমানবন্দরে একদল বিক্ষোভকারী স্লোগান দেয়। বিক্ষোভকারীদের দাবি, মিশিগানের ভোট অবিলম্বে প্রত্যয়ন করা হোক।নির্বাচন সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি মামলা হেরে ট্রাম্প চাপে রয়েছেন। তারপরে তিনি তার দলের নেতাদের কোনওভাবেই বাইডেনকে বিজয়কে স্বীকৃতি না দিতে রাজি করতে শুরু করেছিলেন। ট্রাম্প পেনসিলভেনিয়া নেতাদের সাথে বৈঠকে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত তা হয়নি।প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আবারও নির্বাচনে তার বিজয় নিয়ে ভিত্তিহীন দাবি তুলেছেন। শুক্রবার হোয়াইট হাউসে এক সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘নির্বাচনে আমি জয়ী হয়েছি।’ তিনি সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্ন না নিয়ে সংবাদ সম্মেলন স্থল ছেড়ে চলে যান। নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে ট্রাম্পের এই অনাস্থা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে নজিরবিহীন বলে বিশ্নেষকরা মন্তব্য করেছেন। ট্রাম্পের আইনজীবী সিন্ডি পাওয়েল দাবি করেছেন, সব ক’টি দোদুল্যমান রাজ্যের ভোটে ব্যাপক কারচুপি হয়েছে। এসব নিয়ে তারা সর্বোচ্চ আদালতে যাচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন।এদিকে, বাইডেন তার ডেলাওয়্যার বাড়িতে রয়েছেন। তিনি স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি এবং সিনেটর চার্লস শুমারের সাথে সাক্ষাত করেছেন। নবনির্বাচিত ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। তারা কবিদ -১৯ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি নাগরিকদের জন্য দ্রুত প্রণোদনা দেওয়ার বিষয়েও কথা বলেছেন। বাইডেনের টিম যথারীতি ট্রাম্প প্রশাসনের কোনো সহযোগিতা ছাড়াই ক্ষমতা গ্রহণের কাজকর্ম এগিয়ে নিচ্ছে।