• বাংলা
  • English
  • জাতীয়

    এবার গাজীপুরে স্বামীকে রাস্তায় ফেলে দিয়ে চলন্ত বাসে স্ত্রীকে গণধর্ষণ!

    চলন্ত বাসে চালক ও তার সহকারীসহ দুই-তিনজন স্বামীকে মারধর শুরু করেন। বাসটি চালাচ্ছিলেন আরেক যুবক। স্বামী উদ্ধার করতে এলে স্ত্রীকে মুখ চেপে ধরে বাসের মেঝেতে ফেলে দেয়। এরপর বাসচালকসহ একে একে তাকে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে আহত স্বামীকেও বাস থেকে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়।

    গত শুক্রবার রাতে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার এমসি বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ধর্ষিতার স্বামী বাদী হয়ে শনিবার রাতে শ্রীপুর থানায় মামলা করেন। পরে ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

    শ্রীপুর থানার পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান এ তথ্য জানান। তিনি জানান, স্বামী-স্ত্রী দুজনেই পোশাক কারখানার শ্রমিক। বালুকার স্কয়ার মাস্টার বাড়ি এলাকায় একটি কারখানায় কাজ করেন। নওগাঁ গ্রামের বাড়িতে ছুটি কাটিয়ে কাজে ফিরছিলেন। এ জন্য শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নওগাঁ শহর থেকে একতা পরিবহনের একটি বাসে করে গাজীপুরের ভোগড়া বাইপাস এলাকায় যান তারা। বেলা ৩টা ১০ মিনিটে বালুকার স্কয়ার মাস্টার বাড়ি এলাকায় ভাড়া বাসায় ফেরার জন্য তাকওয়া পরিবহনের একটি মিনিবাসে ওঠেন তারা। এ সময় ওই বাসে ৭-৮ জন যাত্রী ছিল।

    গাজীপুর সদরের হোতাপাড়া ও শ্রীপুরের গড়গড়িয়া মাস্টার বাড়ি এলাকায় বেশির ভাগ যাত্রী ওঠেন। পরে মাওনা ফ্লাইওভার পার হওয়ার পর হঠাৎ করেই স্ত্রীর সামনেই স্বামীকে মারধর শুরু করে বাসের কর্মীরা। তাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তাকে গণধর্ষণ করা হয়। এসময় আহত স্বামীকে এমসি বাজার এলাকায় সড়কে ফেলে দেয়া হয়। পরে তারা আবার গাড়ি ঘুরিয়ে জয়দেবপুরের দিকে যেতে থাকে।

    মামলার বিবরণে জানা যায়, আহত স্বামী রাস্তা থেকে উঠে পায়ে হেঁটে স্কয়ার মাস্টারের বাড়ির ভাড়া বাসায় পৌঁছান। এরই মধ্যে গাজীপুর মহানগরীর কোনো স্থান থেকে তার স্ত্রী তাকে ফোন করে ধর্ষণের কথা জানায়। পরে তারা বিষয়টি গাজীপুর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের জানালে ঘটনার সঙ্গে জড়িত পাঁচজনকে আটক করা হয়।

    স্বামী-স্ত্রীর কাছে থাকা নগদ টাকাও নিয়ে যায় তারা। পরে তাকওয়া বাসটি আটক করে লুট করা মালামাল উদ্ধার করা হয় বলে জানান ওই কর্মকর্তা।

    উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার রাতে কুষ্টিয়া থেকে ৩০-৩৫ জন যাত্রী নিয়ে ঈগল এক্সপ্রেসের একটি বাস ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। পথে একদল ডাকাত গাড়ির নিয়ন্ত্রণ নেয়। পরে যাত্রীদের হাত-পা ও চোখ বেঁধে মারধর ও লুটপাটের পর গণধর্ষণ করা হয় এক নারীকে। ডাকাত দল বাসটি ঘুরিয়ে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কের মধুপুর উপজেলার রক্তপাড়া জামে মসজিদের সামনে রেখে পালিয়ে যায়।

    মন্তব্য করুন