• বাংলা
  • English
  • বিবিধ

    ২৭ বছর ছদ্মবেশে থেকেও, শেষ রক্ষা হয়নি

    যৌতুকের জন্য চাচিকে নির্যাতনে সহযোগিতা করেন সাইফুল ইসলাম। পিটুনির একপর্যায়ে গর্ভবতী চাচি মারা যান। এই ঘটনাটি ২৭ বছর আগে ঘটেছিল। মামলার বিচারিক কাজ শেষে তাকে কারাদণ্ড দেন আদালত। কিন্তু পরিচয় পরিবর্তন করেও আত্মগোপনের হাত থেকে রক্ষা পাননি তিনি। অবশেষে রর‌্যাবের জালে ধরা পড়েন সাইফুল।

    শনিবার রাতে রাজধানীর দারুস সালাম এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-১৪ ময়মনসিংহের একটি দল।

    র‌্যাব জানায়, ১৯৯০ সালে ফুলবাড়িয়া উপজেলার কালদহ ইউনিয়নের হুরবাড়ি গ্রামের আব্দুল আউয়ালের সঙ্গে মনোয়ারা বেগমের বিয়ে হয়। ১৯৯৪ সালের ১১ ডিসেম্বর যৌতুকের দাবিতে মানোয়ারাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পরে মুখে বিষ ঢেলে একে আত্মহত্যা বলার চেষ্টা করা হয়। সন্দেহ হওয়ায় নিহতের ভাই থানায় মামলা করেন। শহীদুল্লাহ

    মামলায় নিহতের স্বামী আব্দুল আউয়াল, ননদ শামছুন্নাহার, হাফেজা খাতুন ও আউয়ালের ভাগ্নে সাইফুল ইসলামকে আসামি করা হয়। তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। সাক্ষ্য গ্রহণের পর অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় ২০০৪ সালে ময়মনসিংহের আদালত চার আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত সাইফুল পলাতক ছিল।

    র‌্যাব-১৪ ময়মনসিংহ কোম্পানির অধিনায়ক আখের মুহাম্মদ জয় জানান, সাইফুল ২৭ বছর ধরে ছদ্মবেশে দেশের বিভিন্ন স্থানে কাজ করে আসছে। অবশেষে তাকে আটক করে ফুলবাড়িয়া থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

    মন্তব্য করুন