• বাংলা
  • English
  • জাতীয়

    হেলিকপ্টার থেকে ক্ষয়ক্ষতি পরিদর্শন।বন্যা কবলিত সিলেটে প্রধানমন্ত্রী

    হেলিকপ্টারে করে নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ ও সিলেটের বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন শেষে মঙ্গলবার সকাল ১০টা ১০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী সিলেট সার্কিট হাউসে পৌঁছান।

    সেখানে তিনি বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন এবং বন্যা মোকাবেলার দিকনির্দেশনা দেন। এরপর তিনি ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের কর্মসূচিতে যোগ দেবেন। দুপুর ১টা পর্যন্ত সিলেটে নির্ধারিত এসব কর্মসূচিতে অংশ নেবেন তিনি।

    এর আগে সকাল ৮টার দিকে হেলিকপ্টারযোগে রাজধানীর তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দর ত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী। হেলিকপ্টার থেকে প্রথমে নেত্রকোনা, তারপর সুনামগঞ্জ ও সবশেষে সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন।

    প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনের সময় ‘লো ফ্লাই মোডে’ উড়বে, যাতে প্রধানমন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার পরিস্থিতি পরিষ্কারভাবে দেখতে পারেন।

    বন্যা কবলিত এলাকা ও ক্ষয়ক্ষতি দেখে তিনি সিলেট এমএজি ওসমানী বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। সেখান থেকে তিনি সিলেট সার্কিট হাউসে পৌঁছান।

    প্রসঙ্গত, দেশে এখন পর্যন্ত ১৫টি বন্যা কবলিত জেলা রয়েছে। বন্যার ঝুঁকিতে রয়েছে আরও ছয় জেলা। পানির স্তর যত কমবে বন্যাকবলিত জেলার সংখ্যা তত বেশি। তালিকায় রয়েছে মানিকগঞ্জ, পাবনা, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, মাদারীপুর ও চাঁদপুর। এসব জেলার ৯টি নদীর ১৯টি পয়েন্টে বিপদসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

    ভারতের মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জি ও সিলেটে কম বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। ফলে সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনায় বন্যার পানি কমছে। তবে হবিগঞ্জ দিয়ে পানি প্রবাহ শুরু হওয়ায় নদীতে পানির উচ্চতা বাড়ছে। সেখানে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম ও পার্বত্য জেলায় অস্বাভাবিক হারে বৃষ্টিপাত বেড়েছে। ফলে সেখানে ভূমিধস শুরু হয়েছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে সেই ঝুঁকি আরও বাড়তে পারে।

    মন্তব্য করুন