দুদকের মামলা।সাবেক ওসি ও তার তিন ছেলের তিন কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ
গোলাম সারওয়ার পুলিশে কনস্টেবল হিসেবে যোগদানের পর ওসি হয়েই অবসরে যান। ওসি হিসেবে তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজের ও তিন ছেলের নামে সম্পদ গড়ে তোলেন। তাদের নামে তিন কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের সন্ধান পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ ঘটনায় চারটি মামলা করেছে দুদক। সোমবার দুদকের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
জানা গেছে, টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার পাখি গ্রামে জন্মগ্রহণকারী সারোয়ার ২০১৬ সালে অবসরে যান। ময়মনসিংহের কোতোয়ালি ও ভালুকা মডেল থানায় ওসি হিসেবে কর্মরত থাকাকালীন তিনি গড়ে তোলেন সম্পদের পাহাড়। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আড়াই বছর আগে তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেন দুদক-অধিভুক্ত ময়মনসিংহ জেলা কার্যালয়ের ডিএডি মোহাম্মদ এনামুল হক। পরে দুদকের জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক রামপ্রসাদ মণ্ডল বাদী হয়ে গত দুই দিনে চারটি মামলা করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, তদন্তে সারওয়ারের নামে ১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা, তার ছেলে এনামুল হকের নামে ৫৫ লাখ ৮৬ হাজার টাকা, নাজমুল হক মারুফের নামে ৩০ লাখ ৫৬ হাজার টাকা এবং মঞ্জুরুল হক মামুনের নামে ২৯ লাখ টাকা পাওয়া গেছে।
দুদক ও স্থানীয়দের তথ্যমতে, সারওয়ারের সাবেক কর্মস্থল ময়মনসিংহ এবং টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে রাজধানী ঢাকার শ্যামলীতে একটি বিলাসবহুল আটতলা বাড়িসহ বিপুল সম্পদ রয়েছে। ময়মনসিংহ নগরীর চরপাড়া নয়াপাড়া এলাকার ১০ তলা সৌহার্দ্য টাওয়ারে নিজের ও ৩ ছেলের নামে ১২টি ফ্ল্যাট রয়েছে।
এছাড়া ময়মনসিংহ নগরীর কৃষ্টপুর দৌলত মুন্সী রোডে ৪ শতাংশ, বলশপুর এলাকায় ১৫ শতাংশ, শিকারীকান্দা এলাকায় ২০ শতাংশ এবং কালিহাতী সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের কাছে ২০ শতাংশ জমিতে বাড়ি নির্মাণ করেছেন সাবেক ওসি।
সারওয়ারের বিরুদ্ধে বিপুল সম্পদ অর্জনের অভিযোগের তদন্ত শুরু হয় ২০১৯ সালে। দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট সঞ্জীব কুমার সরকার বলেন, অভিযুক্তরা এখন আদালতে আত্মসমর্পণ করবে বা গ্রেপ্তারের মুখোমুখি হবে।
অভিযুক্ত সরোয়ারকে মোবাইল ফোনে কল করেও তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এর আগে অবশ্য তিনি সাংবাদিকদের বলেন, দুর্নীতি করে তিনি কিছুই অর্জন করতে পারেননি। তিনি আদালতের মাধ্যমে অভিযোগ নিষ্পত্তি করবেন।