১০৮টি বিলাসবহুল গাড়ি আবার জুনে নিলামে উঠবে
বিভিন্ন জটিলতায় চট্টগ্রাম বন্দরে আটকে থাকা ১০৮টি বিলাসবহুল যানবাহন পুনরায় নিলাম করছে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
আগের জটিলতায় এসব গাড়ির ন্যায্য মূল্য পায়নি শুল্ক কর্তৃপক্ষ; সেসব জটিলতা নিরসন করে এবার গাড়িগুলো নিলামে তোলা হচ্ছে বলে জানান কাস্টমস কমিশনার। ফখরুল আলম।
বুধবার চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এবার ম্যানুয়াল ও ই-অকশন দুই পদ্ধতিতে ১০৮টি গাড়ি নিলাম করা হবে। নিলাম ২৩-২৪ জুন অনুষ্ঠিত হবে। প্রয়োজনে বন্দর চত্বরে গাড়ি দেখে যে কেউ নিলামে অংশ নিতে পারবেন।
কাস্টমস কমিশনার বলেন, আগ্রহী দরদাতাদের ১ জুন বিনামূল্যে ই-অকশন প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। বন্দরে গাড়ি দেখতে পাঁচ দিন সময় থাকবে। জেটিতে নিলামকারীদের তোলার জন্য গাড়ি থাকবে।
নিলামের ক্যাটালগ ২৯ মে প্রকাশিত হবে, ১২-১৩ জুন দরপত্র জমা দেওয়া হবে, ১৪ জুন পে অর্ডারের হার্ড কপি। মংলা, সিলেট, ঢাকা, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও কাস্টম হাউসে রাখা টেন্ডার বাক্সগুলো ১৯ জুন খোলা হবে। ২৩-২৪ তারিখে নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। কাস্টমসের নিলাম শাখা থেকে বিস্তারিত জানা যাবে।
কাস্টমস কমিশনার মো. ফখরুল আলম বলেন, “আমি এবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে সব গাড়ির সিপি পেয়েছি। তাই এবার ক্রয়, খালাস ও রেজিস্ট্রেশনে কোনো সমস্যা হবে না। যদিও আগের নিলামে মাত্র তিনটি গাড়ি বিক্রি হয়েছিল, এবার আমরা। আশা করছি আরও ভালো দামে গাড়ি বিক্রি করতে পারব।প্রথম নিলামে না হলেও দ্বিতীয় ও তৃতীয় নিলামে এই গাড়িগুলো বিক্রি করব।আমাদের মূল সমস্যা কেটে গেছে।দীর্ঘ অচলাবস্থার সমাধান হয়েছে।আমরা এবার আশাবাদী ”
তিনি বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশি পর্যটকরা বিশেষ সুবিধাসহ বিএমডব্লিউ, মার্সিডিজ বেঞ্জ, ল্যান্ড ক্রুজার, ল্যান্ড রোভার, জাগুয়ার, লেক্সাসসহ বিখ্যাত ব্র্যান্ডের এসব গাড়ি নিয়ে আসেন। পরে এসব যানবাহন বন্দর থেকে খালাস বা ফেরত আসেনি। তাই নিয়ম-কানুন মেনেই নিলাম শুরু হয়েছে। আমদানি নীতি অনুযায়ী, বয়স বাড়ার কারণে এসব গাড়ি আমদানি নিষিদ্ধ। তারা বিষয়টি এনবিআরকে জানায়।
পরে এনবিআর চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত উদ্যোগে বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়। যানবাহন নিলামের ছাড়পত্র দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এবার গাড়ির ক্যাটালগ তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি। দেরিতে হলেও আমরা কৃতজ্ঞ এনবিআর চেয়ারম্যান ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরে রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রা ৮৪ হাজার ৬৫ কোটি টাকা। মঙ্গলবার পর্যন্ত ৫১ হাজার ২৩৮ কোটি টাকা। আমি গত বছরের তুলনায় ২০ শতাংশ এগিয়ে আছি। যুদ্ধ ও করোনাসহ বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে রাজস্ব আদায়ও সন্তোষজনক।