বিবিধ

রূপগঞ্জে বীমার নামে প্রতারণা

নারায়ণগঞ্জে প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। রূপগঞ্জের তারাব পৌরসভার মাসাবো এলাকায় সাদা কাগজে গ্রাহকের স্বাক্ষর নিয়ে বিভিন্ন নিয়মের প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে গ্রামের শতাধিক গ্রাহকের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

জানা গেছে, এই বীমা কোম্পানি গ্রামের বেশ কয়েকজন নারী শ্রমিককে ফাঁদে ফেলেছে, বিশেষ করে নারীদের প্রতারণার জন্য প্ররোচিত করে। সাধারণ মানুষকে টার্গেট করে লোভনীয় ডিপিএসের লোভনীয় অফার দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়।

প্রতারণার শিকার আফসানা আক্তার স্বর্ণা অভিযোগ করেন, তার বাবার বাড়ি সোনারগাঁওয়ের পেরাবো এলাকায়। তাহারুন নেশা নামে কোম্পানির এক এজেন্ট কয়েকদিনের জন্য তার শ্বশুর বাড়িতে এসে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে সাদা কাগজে দুটি ডিপিএস স্বাক্ষর করে নিয়ে যায়। এজেন্ট বলেন, ডিপিএস যেকোনো সময় ভেঙে যেতে পারে। পুরো সময় শেষ করলেও দ্বিগুণ পরিমাণ পেমেন্ট পাবেন। এর জন্য তিনি একটি মাসিক এবং একটি বার্ষিক ডিপিএস করেন।

তিনি আরো জানান, বর্তমানে তার এলাকার অনেকেই মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও টাকা তুলতে পারছেন না। টাকা না দেওয়ার জন্য তারা নানা অজুহাত দিচ্ছে। তাই তিনি তার ডিপিএসের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তা ভেঙে ফেলার জন্য স্থানীয় মাসাবো অফিসে যোগাযোগ করেন। তবে, তারা তাকে বলেছিল যে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে তাকে অর্থ প্রদান করা যাবে না।

কোম্পানির এজেন্ট তাহারুন নেশা বলেন, গ্রাহকদের নাম বুঝিয়ে দিতে পারলে কমিশন পাব। অফিস থেকে কিছু কাগজপত্র দিলে আমি গ্রাহকদের স্বাক্ষর নিয়ে অফিসে জমা দিই। পরে অফিসে ওই কাগজে কী লেখা ছিল জানি না।

প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মাসাবো অফিসের ইনচার্জ ইসমাইল হোসেন বলেন, “নির্ধারিত সময়ের আগে ডিপিএস ভাঙার কোনো নীতি আমাদের অফিসে নেই।

“এজেন্টরা কি বলে তাতে আমার কিছু যায় আসে না,” তিনি ফিল্ড স্টাফদের প্রতি ভুক্তভোগীদের প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে বলেছিলেন। তবে নির্ধারিত সময়ের আগে ডিপিএস ভাঙতে চাইলে টাকা পাওয়া যাবে না।

মন্তব্য করুন