৮০ হাজার প্রবাসীকর্মী করোনায় চাকরি হারিয়ে অক্টোবরে ফিরেছেন
করোনাকালের সময় চাকরি হারিয়ে বিদেশ থেকে ফিরে আসা কর্মীদের প্রবণতা থামছে না। প্রতি মাসে রিটার্নিং কর্মীদের সংখ্যা বাড়ছে। ৮০ হাজার ৭৮২ জন অক্টোবরে ফেরত আসেন।, ৭০ হাজার ৫৯৬ জন গত সেপ্টেম্বরে ফিরেছিল। ১ এপ্রিল থেকে গত সাত মাসে দুই লাখ ৪৫ হাজার ৭৯০ জন লোক দেশে এসেছেন, তাদের মধ্যে ২৭ হাজার ৮২৭ জন মহিলা শ্রমিক রয়েছেন।
প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। সর্বাধিক সংখ্যক শ্রমিক সৌদি আরব থেকে ফিরেছেন। ১ এপ্রিল থেকে ৬৮ হাজার ৬৪৭ জন মধ্য প্রাচ্যের দেশ থেকে ফিরে এসেছেন। তাদের মধ্যে প্রায় ২০ হাজার কর্মী অক্টোবরে ফিরেছিলেন। মধ্যপ্রাচ্যের আরেক দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে সাত মাসে ফেরত এসেছেন ৬৪ হাজার ২৮ জন। এ দেশ থেকেও অক্টোবরে ২০ হাজার কর্মী ফেরত এসেছেন।
রোববার প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পাঠানো কল্যাণ ডেস্কের সহকারী পরিচালক ফখরুল আলমের স্বাক্ষরিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত মাসে প্রত্যাবর্তনকারী অর্ধেক শ্রমিক দুই দেশ থেকে ফিরে এসেছেন।
সৌদি প্রত্যাবাসীদের বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে চাকরির অভাবে তারা দেশে ফিরেছেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতকে রিটার্নিং কর্মীদের রেফারেন্স করতে বলা হয়েছে, যে করোনার কারণে কোনও কাজ না হওয়ায় নিয়োগকারী সংস্থা শ্রমিকদের ফিরিয়ে দিচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পুনরায় কর্মসংস্থানের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। মধ্য প্রাচ্যের আরেকটি দেশ কাতার থেকে আরও ২৫,০০০ কর্মী গত মাসে দেশে ফিরেছিলেন।
গত মাসে মালয়েশিয়া থেকে ফিরে এসেছিলেন চার হাজার তিনজন শ্রমিক। পূর্ব এশীয়ার দেশ থেকে মোট ১১ হাজার ৫৭১ জন মানুষ ফিরে এসেছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চাকরি হারানোর কারণে শ্রমিকরা চলে যাচ্ছেন।
বিস্ফোরণে বিধ্বস্ত ১ অক্টোবরে লেবানন থেকে ফিরে আসা এক হাজার ৬৮ জন মানুষ। বৈরুত বোমা বিস্ফোরণের পর থেকে মোট ৮৬৯জন শ্রমিক দেশ থেকে ফিরে এসেছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটিতে কাজের সংকট রয়েছে। এজন্য শ্রমিকরা ফিরে আসছেন।