মারধরের অভিযোগে দেওয়া ঢাবি শিক্ষার্থীকে হল ছাড়া করল ছাত্রলীগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের এক ছাত্রের অনুষ্ঠান ও অতিথি কক্ষে না আসায় ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর শিকদারকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এবার ওই ছাত্রকে হল থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওর বিরুদ্ধে। পরে অবশ্য প্রশাসনের সহায়তায় তাকে হলে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম রাজিমুল হক রাকিব। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা ও তথ্য সিস্টেম বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের ছাত্র। রাকিব জানান, ইফতারের পর সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর সিকদারের অনুসারী ছয় থেকে সাতজন আমার কক্ষে এসে জিনিসপত্র বের করে দেন। এ সময় তারা প্রাণঘাতী অবস্থানে ছিল। তাই আমি কিছু না বলে হল থেকে বেরিয়ে এলাম।
তিনি বলেন, মারধরের পরপরই আমি প্রাধ্যক্ষকে বিষয়টি জানায়। তিনি আমাকে আশ্বস্ত করেছেন যে হলে থাকতে সমস্যা হবে না। তারপর হঠাৎ তারা আমাকে হল থেকে বের করে দেয়।
পরে রাকিব বলেন, প্রশাসন তাকে আবার হলে নিয়ে গেছে। তিনি বলেন, আমি বিকেল ৩টার দিকে হলের প্রধানের সঙ্গে দেখা করি। তখন তিনি আমাকে সর্বোচ্চ সহযোগিতার আশ্বাস দেন। সন্ধ্যায় হল থেকে বের হওয়ার পর আমি ডিনের সঙ্গে যোগাযোগ করি। রাত ১১টার পর হল প্রশাসনের উদ্যোগে আমি হলে ফিরে আসি।
তানভীর হল ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন মাস দুয়েক। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের অনুসারী। অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত তানভীর সিকদার। “আমার সাথে তার কোন ঝামেলা নেই,” আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমি হলের কর্তৃপক্ষ নই, কাউকে উচ্ছেদ করার ক্ষমতা আমার থাকবে। আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখব।
এ প্রসঙ্গে ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, হলে কারা থাকবেন আর কারা থাকবেন না তা প্রশাসন ঠিক করবে। কেউ আমাদের প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করলে আমরা ব্যবস্থা নেব।
সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের প্রাধ্যক্ষ মো. মজিবুর রহমান বলেন, আমি ওই ছাত্রকে দায়িত্ব নিয়ে হলে তোলার ক্যবস্হা করেছি।