• বাংলা
  • English
  • জাতীয়

    গ্যাস সংকট আরও ৬-৭দিন স্থায়ী হতে পারে

    রমজানের প্রথম দিন ছিল রোববার। তাই ইফতারের জন্য প্রতিটি বাড়িতেই ছিল বিশেষ প্রস্তুতি। কিন্তু গ্যাস সংকটের কারণে অনেকেই ইফতারির আয়োজন পূর্ণ করতে পারেননি। গত শনিবার রাত থেকে সারাদেশে গ্যাসের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। গ্যাসের অভাবে অনেক রপ্তানিমুখী শিল্পের উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। সরবরাহ কমে যাওয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদনও কমে গেছে। ফলে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ দ্বিগুণ হয়েছে। জ্বালানি বিভাগ জানিয়েছে, বহুজাতিক কোম্পানি শেভরনের মালিকানাধীন বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রের সংস্কারের কারণে এই সংকট সৃষ্টি হয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হবে বলে আশা করছে পেট্রোবাংলা। তবে গ্যাস সংকট আরও এক সপ্তাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলে সূত্র জানিয়েছে।

    হঠাৎ করে গ্যাস সরবরাহ কমে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। রাজধানীর মগবাজার এলাকার বাসিন্দা মশিউর রহমান বলেন, সকাল থেকে গ্যাসের চাপ ছিল না। চুলা জ্বলছিল টিমটিম করে। দুপুর থেকে চুলা একাবারেই জ্বলেনি। বাইরে থেকে ইফতার কিনতে হয়েছে। গ্যাস সংকটের কারণে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও দিয়েছেন।

    রোববার সকাল থেকে সাভার, আশুলিয়া, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জের অধিকাংশ শিল্প-কারখানায় গ্যাসের চাপ কম ছিল। বেশ কয়েকটি কারখানার মালিকরা জানান, তাদের কারখানা চালাতে কমপক্ষে ১৫ পিএসআই চাপে গ্যাসের প্রয়োজন হয়। কিন্তু সকাল থেকে ২-৩ পিএসআই  তে গ্যাসের চাপ ছিল না। ফলে উৎপাদন বন্ধ রাখতে হয়েছে।

    জানা গেছে, দেশের সর্ববৃহৎ গ্যাস উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রের সরবরাহ লাইনে হঠাৎ করে বালুর উপস্হিতির কারণে শনিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ছয়টি কূপের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। ফলে প্রতিদিন ১২৮ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহকারী গ্যাসক্ষেত্রের উৎপাদন এক দফায় ৪৫ কোটি ঘনফুট কমে যায়। একই সময়ে এলএনজি থেকে গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৫০ কোটি ঘনফুট। সব মিলিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে গ্যাসের ঘাটতি উদ্বেগজনক মাত্রায় পৌঁছেছে।

    পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান  বলেন, শেভরন সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। সন্ধ্যায় একটি কূপ থেকে গ্যাস উৎপাদন শুরু হয়েছে। আশা করছি সোমবারের মধ্যে সংকট কেটে যাবে।

    মন্তব্য করুন