র্যাগ দেওয়া নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষ, আহত ২০ জন
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ছাত্রলীগের এক কর্মীকে আটকে র্যাগ দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ২০ নেতাকর্মী আহত হয়। বুধবার রাত ১০টার দিকে মাস্টারদা সূর্যসেন হলে এ ঘটনা ঘটে। দুটি যুদ্ধকারী দল হল ‘সিক্সটি নাইন’ এবং ‘এপিটাফ’। দুজনই সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।
ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুর দেড়টায় সূর্যসেন হলের ক্যান্টিনে সিক্সটি নাইন প্রথম বর্ষের ছাত্র বায়েজিদ বোস্তামী ও তার কয়েকজন সহপাঠী খেতে যান। সেখানে এপিটাফ দলের কয়েকজন সদস্য বায়েজিদ ও তার সহপাঠীদের আটক করে র্যাগ দেয়। চার ঘণ্টা আটকে রেখে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
বায়েজিদ শাহজালাল হলে সিক্সটি নাইন দলের বিভিন্ন নেতাকর্মীকে ঘটনার কথা জানান। পরে রাতে সিক্সটি নাইন দলের কয়েকজন নেতাকর্মী সূর্য সেন হলে গেলে সেখানে অবস্থানরত এপিটাফের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। উভয়পক্ষ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইট-পাথর নিক্ষেপ করে। এতে উভয় পক্ষের ২০ জন কর্মী আহত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের মেডিকেল অফিসার মোহাম্মদ টিপু সুলতান বলেন, আহত ২০ শিক্ষার্থী রাত ১১টার দিকে চিকিৎসা নিতে আসেন। তাদের শরীরে ইট ও পাথরের আঘাতের চিহ্ন ছিল। সবাইকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
“আমরা ক্যাম্পাসে নতুন,” ক্যাম্পাসের চারপাশে ঘুরে দেখছিলাম। সূর্যসেন হলের কয়েকজন বড় ভাই আমাদের বাধা দেন এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। আমাদের গান গাইতে বাধ্য করেছে। আমি মোটা বলে বিভিন্ন কথা বলেছে। পোশাক খুলে নাচতেও বলেন। আমি শাহজালাল হলে এসে কয়েকজন সিনিয়রকে এসব ঘটনা জানিয়েছি।
সিক্সটি নাইন দলের নেতা রাজু মুন্সী বলেন, আমাদের কয়েকজন নেতাকর্মী সূর্যসেন হলে গিয়ে একজন কর্মীকে র্যাগ দেওয়ায়। ক্যাম্পাসে র্যাগ নিষিদ্ধ হলেও তারা র্যাগ দিয়ে নতুন শিক্ষার্থীদের প্রতি অবিচার করেছে।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর শহিদুল ইসলাম বলেন, র্যাগ দেওয়া নিয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।