জাতীয়

এবার নজর বঙ্গভবনের দিকে।কে হচ্ছেন নতুন সিইসি,  কমিশনার কারা

নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে হবেন এবং নির্বাচন কমিশনে কে আসছেন তা নিয়ে মানুষের মনে কৌতূহল বাড়ছে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও চলছে গুঞ্জন। অনেক কিছু নির্ভর করে ভবিষ্যতের রাজনীতি এবং গণতান্ত্রিক সরকারের ধারাবাহিকতার প্রকৃতির ওপর। কারণ এই কমিশনের অধীনেই আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

কমিশন গঠনের জন্য ১০ জনের নাম চূড়ান্ত করেছে আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদের কাছে তালিকা হস্তান্তর করা হবে। সার্চ কমিটিকে সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করার সময় দেওয়া হয়েছে।

তালিকায় যাদের নাম আছে, তাদের নাম প্রকাশ করছে না সার্চ কমিটি। রাষ্ট্রপতি যদি এটি প্রয়োজনীয় মনে করেন তবে তিনি প্রকাশের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তি তালিকা প্রকাশের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। আইন অনুযায়ী, প্রস্তাবিত ১০ প্রার্থীর তালিকা থেকে রাষ্ট্রপতি সিইসি ও চার নির্বাচন কমিশনারকে নিয়োগ দেবেন।

এর আগে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের জাজ লাউঞ্জে সার্চ কমিটির সপ্তম বৈঠকে ১০ জনের নাম চূড়ান্ত করা হয়। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ১০ জন মনোনয়নপ্রত্যাশীর তালিকায় রয়েছেন দুই সাবেক সিইসি আমলা ও আটজন নির্বাচন কমিশনার। তাদের মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত বিচারক, শিক্ষক ও নারী এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা রয়েছেন। রাষ্ট্রপতি একটি নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন যার মধ্যে পাঁচটির বেশি থাকবেন না।

গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি সার্চ কমিটি গঠন করেন। বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামান, কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি) মুসলিম চৌধুরী, সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান সোহরাব। হোসেন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হুসাইন ও কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক আনোয়ার সাইয়্যাদ।

কমিটি এ পর্যন্ত সাতটি বৈঠক করেছে। প্রথম বৈঠকের পর দেশের নিবন্ধিত ৩৯টি দলসহ ব্যক্তি ও পেশাজীবীদের আইন অনুযায়ী সিইসি ও নির্বাচন কমিশনার পদে উপযুক্ত ব্যক্তিদের মনোনয়ন দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়। এর ভিত্তিতে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে সার্চ কমিটি ৩২২ জনের (একাধিক নাম বাদ দিলে ৩১৫ জনের) তালিকা প্রকাশ করে। এছাড়াও কমিটি বুদ্ধিজীবী, শিক্ষাবিদ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ৪৭ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে চারটি মতবিনিময় সভা করেছে।

এটি নির্বাচন কমিশন কর্তৃক গঠিত তৃতীয় সার্চ কমিটি। তবে নির্বাচন কমিশন আইন কার্যকর হওয়ার পর এটাই প্রথম সার্চ কমিটি। এর আগে নির্বাচন কমিশন গঠনে ২০১২ ও ২০১৭ সালে সার্চ কমিটি গঠন করা হয়। রাষ্ট্রপতির বিশেষ আদেশে দুবার সার্চ কমিটি গঠন করা হয়। নতুন আইনে সার্চ কমিটি থাকলেও আগের কাঠামো অনুসরণ করা হয়েছে। কারণ আইনেরও এই কাঠামো আছে।

মন্তব্য করুন