পাঁচটি পৌরসভার মধ্যে চারটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জয়ী
পাঁচটি পৌরসভা নির্বাচনে চারটিতেই জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা। একটিতে স্বতন্ত্র বিএনপি প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। নাটোর পৌরসভায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী, যশোরের ঝিকরগাছা, চট্টগ্রামের বাঁশখালী ও নোয়াখালী এবং নাটোরের বাগাতিপাড়ায় বিএনপিপন্থী স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন।
নাটোর পৌরসভায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান মেয়র উমা চৌধুরী জলি ২০ হাজার ৬৫৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম স্বতন্ত্র (বিএনপি) প্রার্থী শেখ এমদাদুল হক মামুন পেয়েছেন ১৩,০৬২ ভোট। বাগাতিপাড়া পৌরসভায় স্বতন্ত্র (বিএনপি) প্রার্থী একেএম শরিফুল ইসলাম লেলিন ২২৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মায়মুর সুলতান পেয়েছেন ২১৬ ভোট। তৃতীয় হয়েছেন নৌকার প্রার্থী শাহিদা খাতুন।
যশোরের ঝিকরগাছা পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন মোস্তফা আনোয়ার পাশা জামাল। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জামাল পেয়েছেন ৬ হাজার ৩৬৫ ভোট। তার নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট ইমরান হাসান সামাদ নিপুন পেয়েছেন ৬ হাজার ১২৬ ভোট।
চট্টগ্রামের বাঁশখালী পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তোফায়েল বিন হোসেন পেয়েছেন ১৪ হাজার ৩৪৫ ভোট। তার নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা ও সাবেক মেয়র কামরুল ইসলাম হোসেনী মোবাইল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৩৫৯ ভোট। তবে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভোট কারচুপি ও কেন্দ্র দখলের অভিযোগ এনে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন কামরুল ইসলাম হোসেন।
এদিকে ১নং ওয়ার্ডে আনসুর আলী তালুকদার, ২নং ওয়ার্ডে কাঞ্চন বড়ুয়া, ৩নং ওয়ার্ডে জামশেদ আলম, ৪নং ওয়ার্ডে আরিফ মঈনুদ্দিন, ৫নং ওয়ার্ডে মোহাম্মদ ইসহাক, ৬নং ওয়ার্ডে আক্তার হোসেন। পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৬নং ওয়ার্ডে আব্দুল গফুর। ওয়ার্ডে প্রণব দাস ও ৯নং ওয়ার্ডে বদিউল আলম কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া সংরক্ষিত ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডে রোজিনা আক্তার, ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডে রোজিয়া সুলতানা রোজী এবং ৬, ৭ ও ৯ নং ওয়ার্ডে বিউটি কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন সাদেকা নুর খানম।
নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী শহীদ উল্লাহ খান সোহেল বেসরকারিভাবে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক।
৩৪টি কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত ভোটের ফলে নৌকার প্রার্থী ২৬ হাজার ৪০৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হন। তার নিকটতম স্বতন্ত্র (বিএনপি) প্রার্থী সহিদুল ইসলাম কিরণ কম্পিউটার প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৬ হাজার ৬২৬ ভোট। জাতীয় পার্টির প্রার্থী সামছুল ইসলাম মঞ্জু পেয়েছেন ১৮৯ ভোট।