আরও ৭০৫ জন রোহিঙ্গা ভাসানচরে যাত্রা
কক্সবাজারের শরণার্থী শিবির থেকে আরও ৭০৫ রোহিঙ্গাকে নিয়ে আটটি বাস নোয়াখালীর ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। প্রথম দফায় বুধবার দুপুর ২টার দিকে চট্টগ্রামের ভাসানচরের উদ্দেশে উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ ছেড়ে যায় রোহিঙ্গারা। সকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তায় রোহিঙ্গারা উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠে আসতে থাকেন। বাসে করে ভাসানচরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসনের অতিরিক্ত কমিশনার (আরআরআরসি) মোহাম্মদ সামছু-দৌজা জানান, নবম দফায় এবার ৭০৫ জন রোহিঙ্গা চট্টগ্রাম থেকে ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। ভাসানচরে যেতে রাজি হয়েছেন আরও কয়েকজন রোহিঙ্গা। তাদের পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে তাদের দ্বীপে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। এ বিষয়ে ভাসানচরে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের (সিআইসি) প্রতিনিধি জহিরুল ইসলাম জানান, ভাসানচরে ৭০৫ জন রোহিঙ্গা উখিয়া ছেড়েছে। আরো কিছু রোহিঙ্গা আসার কথা রয়েছে। সব মিলিয়ে এবার কতজন রোহিঙ্গা এখানে আসছে তা বলা মুশকিল। গত বছরের মে মাসে অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের চেষ্টা করা ৩০৭ রোহিঙ্গাকে সাগর থেকে উদ্ধার করে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের জন্য সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ৩ হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা ।ভাসানচরে সমগ্র আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়ন ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দমন-পীড়ন থেকে বাঁচতে রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ার শরণার্থী শিবিরে বসবাস করছে। ২০১৭ সালে মিয়ানমারে একটি নৃশংস সামরিক অভিযানের সময় তাদের বেশিরভাগই পালিয়ে যায়। দুই বছর আগে, সরকার শরণার্থীদের উপর চাপ কমাতে নোয়াখালীর হাতিয়ারের কাছে মেঘনার মোহনার একটি দ্বীপ ভাসানচরে কমপক্ষে 1 লাখ রোহিঙ্গাকে স্থানান্তর করার পরিকল্পনা করেছিল।