ফাইনালে বিপিএলের ছয় দল
নিউজিল্যান্ডে জাতীয় দলের অনুশীলনের ওপর নির্ভর করে বঙ্গবন্ধু বিপিএলে পাঁচ-ছয়টি দল থাকবে। ক্রাইস্টচার্চে জাতীয় দলের কোয়াড টেস্ট রিপোর্ট নেগেটিভ হওয়ায় দেশ স্বস্তি পেয়েছে। জাতীয় দলকে মাঠে নামার দিন বিপিএলের ছয়টি দলকে টোকেন দেয় বিসিবি। অষ্টম বিপিএল পেয়েছে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, কুমিল্লা ও সিলেটের দল।
ঢাকা ফ্র্যাঞ্চাইজি যৌথভাবে রূপা ফেব্রিক্স এবং মার্ন স্টিলের মালিকানাধীন। আখতার গ্রুপের ডেল্টা স্পোর্টস নিয়েছে চট্টগ্রাম। ফরচুন জুতা কিনেছেন বরিশাল। তারা ফরচুন বরিশাল নামের টুর্নামেন্টে। খুলনা দখল করেছে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি মিন্ট্রি। সিলেট পেয়েছে প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। বিপিএলে ফিরেছে কুমিল্লা লিজেন্ডস লিমিটেড।
ফ্র্যাঞ্চাইজি চূড়ান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রায় সব দলই চূড়ান্ত করেছে ‘ফ্রি ফরেন প্লেয়ার’। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলে তালিকাও জমা দিয়েছে। এবার তিন বিদেশি ক্রিকেটার ফি্রি করা হয়েছে। আটজন নিবন্ধনের নিয়ম থাকলেও ম্যাচ খেলতে পারবেন মাত্র দুজন। এটা মাথায় রেখেই ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো তাদের দল সাজিয়েছে। ২৬ ডিসেম্বর প্লেয়ার ড্রাফট হয়ে গেলে আনুষঙ্গিক কাজও শুরু হবে। টুর্নামেন্টটি হবে ঢাকার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়াম, সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম এবং চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। এক বছরের বিরতি নিয়ে বিপিএল ফিরলেও প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিগুলো ফ্র্যাঞ্চাইজি হওয়ার আগ্রহ দেখায়নি। বেক্সিমকো লিমিটেড ছেড়েছে ঢাকা ডায়নামাইটস। বসুন্ধরা গ্রুপকে কিনে নেয়নি রংপুর রাইডার্স। জ্যামকন গ্রুপও দল নিতে আগ্রহ দেখায়নি। এক বছরের জন্য বিপিএলে ফিরতে রাজি হননি তারা।
নিয়মিত কিছু ফ্র্যাঞ্চাইজি না ফিরলেও অষ্টম বিপিএলে ক্রিকেটারদের সম্মান বাড়িয়ে বিদেশি ক্রিকেটারদের সমান করা হয়েছে। ‘এ’ ক্যাটাগরি বা আইকন ক্রিকেটাররা পাবেন ৭০ লাখ রুপি। ‘বি’ ক্যাটাগরির ক্রিকেটারদের সম্মানী ৪০ লাখ, ‘সি’ ক্যাটাগরির ২৫ লাখ, ‘ডি’ ক্যাটাগরির ১৮ লাখ, ‘ই’ ক্যাটাগরির ১২ লাখ এবং ‘এফ’ ক্যাটাগরির ৫ লাখ টাকা।