রংপুরে একশো বছরে এত বৃষ্টি হয়নি
১৪ ঘণ্টা একটানা বৃষ্টির কারণে রংপুর শহর অকেজো হয়ে পড়েছে। সায়েলব শহরের বাড়ি, গলি, রাস্তা, খেলার মাঠ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং কবরস্থান পানির নিচে রয়েছে। মেট্রোপলিটান পুলিশের কোতোয়ালি থানার গাড়ি আধ জলে ডুবে গেছে। ১০০ বছরের পুরানো রেকর্ড ভাঙা বৃষ্টিতে আটকা পড়া লোকদের উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিস রবিবার শহরের রাস্তায় একটি স্পিডবোট নামিয়েছে। শনিবার রাত থেকে রংপুরে বৃষ্টি শুরু হয়েছিল। প্রথমে হালকা হালকা বৃষ্টি হলেও সকাল সাড়ে নয়টার পরে শুরু হয়েছিল ভারী বৃষ্টি। সারা রাত অবিরাম বৃষ্টির পর রবিবার সকালে বৃষ্টি কিছুটা কশে আসে। রংপুর শহরের জলাবদ্ধতা অপসারণের একমাত্র উপায় শ্যামসুন্দরী খালকে বৃষ্টির পানিতে তাইতম্বুরে পরিণত করা। নতুন ইঞ্জিনিয়ারপাড়া, কেরানীপাড়া, মুন্সিপাড়া, গোমস্তাপাড়া, লিচু বাগান, পায়রা চত্ত্বর, সেনপাড়া, গুপ্তপাড়া, থিকাদারপাড়া, আলমানগর, বাবুপাড়া, আশ্রতপুর, চৌক বাজার, পূর্ব শালবন, শালবন মিস্ত্রিপাড়া, শালবন মিস্ত্রিপাড়া, কোম্পানির মোড়, কমল কাঁচ সহ প্রায় সব অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। শ্যামসুন্দরী খালে পানি বৃদ্ধির কারণে নগরীর ছোট ছোট কবরস্থানেও পানি প্রবেশ করেছে। ফলে বৃষ্টিতে কবরে ভাসছে।
রবিবার সকাল থেকে নগরীর জলাবদ্ধদের উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিস মাঠে কাজ করছে। তারা মা, শিশু এবং বৃদ্ধদের সহ শত শত শিশুকে উদ্ধার করে সুরক্ষায় নিয়ে আসে। জলের স্তর বাড়লে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
১৪ ঘন্টার অবিরাম বৃষ্টিপাত রংপুরে ১০০ বছরের বৃষ্টির রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে। রংপুর আবহাওয়া অফিস অনুসারে। তবে শনিবার সন্ধ্যা থেকে রবিবার সকাল ৯ টা পর্যন্ত রংপুরে ৪৩৩ মিমি বৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়া অফিস বলছে, এই বৃষ্টি অতীতের সমস্ত রেকর্ড ভেঙেছে।
রংপুর জেলা আবহাওয়া কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা নথি থেকে দেখেছি যে গত ১০০ বছরে এ ধরণের একটানা বৃষ্টিপাত হয়নি। সোমবার ও মঙ্গলবার রংপুরে আরও দু’দিন হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।