বিবিধ

ইন্দোনেশিয়ায় পোশাক রপ্তানিতে ২৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর

বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশ থেকে তৈরি পোশাক ও পোশাকের জিনিসপত্র আমদানির বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে ইন্দোনেশিয়া। ফলে বাংলাদেশে পোশাকের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত, দেশটি পোশাক রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার ছিল। এই ধরনের টুপি এবং টাই ছাড়া অন্য সব ধরনের পোশাক এই পরিমাপের আওতায় রয়েছে। গত ১২ নভেম্বর থেকে তিন বছরের সুরক্ষা ব্যবস্থা কার্যকর হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

রপ্তানিকারক উদ্যোক্তারা মনে করেন, ইন্দোনেশিয়ার এ পদক্ষেপে বাংলাদেশের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। বাংলাদেশের পোশাকের উল্লেখযোগ্য বাজারের তালিকায় দেশটি নেই। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ও বিজিএমইএর তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর তিন কোটি ডলারের বেশি মূল্যের পোশাক ইন্দোনেশিয়ায় যায়।

নিটেড পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ইন্দোনেশিয়া নিজেই একটি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। এ কারণে বাংলাদেশ থেকে খুব কম পোশাক দেশে যায়। ফলে এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে বাংলাদেশের কোনো সমস্যা হবে না।

স্থানীয় পোশাক শিল্পকে রক্ষা করতে ইন্দোনেশিয়া এই পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানা গেছে। এই পদক্ষেপ নেওয়ার আগে দেশটির সেফ গার্ড কমিটি (কেপিপিআই) বাংলাদেশ সফর করেছে। কমিটি স্থানীয় পোশাক খাত রক্ষায় শুল্ক আরোপের ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে। দেশের পোশাক খাতের অবকাঠামো ও সক্ষমতা দেখে কেপিপিআই সদস্যরা বলেছেন, বাংলাদেশের পোশাক খাতের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করার মতো সক্ষমতা ইন্দোনেশিয়ার নেই। ফলে নিরাপত্তা ব্যবস্থার মাধ্যমে ইন্দোনেশিয়ার বাজারে বাংলাদেশি পোশাকের অবাধ প্রবেশ কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। অন্যান্য পোশাক রপ্তানিকারক দেশের ক্ষেত্রেও একই যুক্তি দেখা গেছে।

দশ বছর আগে, তুরস্ক একইভাবে স্থানীয় পোশাক শিল্পের স্বার্থে প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল। তবে বাংলাদেশ পোশাকের অন্যতম বড় আমদানিকারক হওয়ায় দেশটিতে রপ্তানি কমেছে।

মন্তব্য করুন