রাজনীতি

হান্নান মাসুদকে হুমকি দেওয়া যুবককে গ্রেপ্তার

জাতীয় নাগরিক দলের (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম প্রধান সমন্বয়কারী এবং নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনের শাপলা কলী প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল হান্নান মাসুদকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে এক যুবককে হাতিয়া পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। গতকাল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার চরঈশ্বর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নান্দোরো এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত যুবকের নাম ইসরাত রায়হান অমি। সে চরঈশ্বর ইউনিয়নের প্রাক্তন ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম আজাদের ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তারকৃত ইসরাত রায়হান অমির বিরুদ্ধে হাতিয়া থানায় তিনটি মামলা রয়েছে। পুলিশ আরও জানিয়েছে যে, সে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্নভাবে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টির চেষ্টা করে আসছিল। গত শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে ঘটনার সূত্রপাত হয়। সেই সময় ইসরাত রায়হান অমি একজন এনসিপি কর্মীকে মেসেঞ্জারের মাধ্যমে অত্যন্ত উস্কানিমূলক ও হুমকিমূলক বার্তা পাঠান। বার্তায় তিনি উল্লেখ করেন যে, যদি প্রাক্তন চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম আজাদকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হয়, তাহলে হান্নান মাসুদ, তানভীর এবং উত্তরাঞ্চলের অন্যান্য নেতাদের আন্দোলন ‘হারাম’ করে দেওয়া হবে। বার্তায় আরও হুমকিমূলক ভাষায় লেখা হয়েছে – ‘আমাদের নেতাকর্মীদের সরাসরি গিলে ফেলা হবে।’
গত বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে ‘রূপক নন্দী’ নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট ভাইরাল হয়। সেই পোস্টে সরাসরি হান্নান মাসুদকে উদ্দেশ্য করে লেখা হয়েছিল, হান্নান, আগুন নিয়ে খেলো না। পরে বলবো – আমি তোমাকে বলেছি। পোস্টে আরও বলা হয়েছে যে, যারা প্রাক্তন চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম আজাদকে ভালোবাসেন তারা হান্নান মাসুদকে রেহাই দেবেন না। এমনকি হালিম আজাদকে গ্রেপ্তার করা হলে হান্নান মাসুদকে হাতিয়া থেকে নিষিদ্ধ করার হুমকিও দেওয়া হয়েছে।
এই হুমকি এবং উস্কানিমূলক বক্তব্য এলাকায় চরম উদ্বেগ ও উত্তেজনা তৈরি করে। বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরে আসার পর পুলিশ দ্রুত অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। এই বিষয়ে হাতিয়া থানার ওসি সাইফুল আলম আমাদেরকে বলেন, অভিযানে ইসরাত রায়হান অমিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, যারা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিঘ্নিত করার চেষ্টা করবে অথবা সরাসরি উস্কানিমূলক বক্তব্য দেবে, তাদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা হবে।