সৈন্য নিহত: আইসিসের বিরুদ্ধে আমেরিকার বিশাল আক্রমণ
সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ‘অপারেশন হকআই’ শুরু করেছে মার্কিন-সিরিয়ার যৌথ সেনাবাহিনী। এই অভিযান আইসিস গ্রুপের যোদ্ধা, অবকাঠামো এবং অস্ত্রের গুদাম লক্ষ্য করে চালানো হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গতকাল থেকে অভিযান শুরু হয়েছে উল্লেখ করে হেগসেথ বিবৃতিতে বলেছেন যে, মার্কিন-সিরিয়ার যৌথ সেনাবাহিনী গতকাল থেকে সিরিয়ায় অপারেশন হকআই শুরু করেছে। এই অভিযান আইএস গ্রুপের যোদ্ধা, অবকাঠামো এবং অস্ত্রের গুদাম লক্ষ্য করে চালানো হচ্ছে।
সিরিয়ায় মার্কিন ঘাঁটিতে বর্তমানে ১,০০০ সেনা রয়েছে। গত শনিবার, সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলীয় শহর পালমিরায় মার্কিন-সিরিয়ার একটি কনভয়ে আইএস বন্দুক হামলা চালায়। এতে দুই মার্কিন সেনা এবং তাদের দোভাষী ঘটনাস্থলেই নিহত হন এবং আরও তিনজন মার্কিন সেনা আহত হন। মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) জানিয়েছে যে, মধ্যাঞ্চলীয় সিরিয়ার বিভিন্ন স্থানে কমপক্ষে ৭০টি আইএস লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে। এই হামলায় যুদ্ধবিমান, আক্রমণকারী হেলিকপ্টার এবং কামান ব্যবহার করা হয়েছিল। জর্ডানের বিমানও এই অভিযানে অংশ নিয়েছিল।
সিরিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ইতিমধ্যেই আক্রমণকারীকে শনাক্ত করেছেন। তারা বলেছেন যে, আক্রমণকারী একসময় সিরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ছিলেন। বর্তমানে তিনি আইএস যোদ্ধা হিসেবে কাজ করছেন। পিট হেগসেথ গতকাল এক বিবৃতিতে বলেছেন যে, গত সপ্তাহে মার্কিন সেনাদের উপর হামলার জবাবে ‘অপারেশন হকআই’ অভিযান শুরু করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন যে, গতকাল সিরিয়ায় ৭০টি আইএস লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা হয়েছে। এই অভিযানে এফ-১৫ এবং এ-১০ যুদ্ধবিমান, অ্যাপাচি হেলিকপ্টার এবং হিমার্স রকেট সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে।
এটি কোনও যুদ্ধের সূচনা নয়, বরং এই অভিযান একটি প্রতিশোধমূলক পাল্টা ব্যবস্থা। আমরা আজ বেশ কয়েকজন শত্রুকে হত্যা করেছি এবং এই অভিযান অব্যাহত থাকবে, মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব এক বিবৃতিতে বলেছেন। এদিকে, একই দিনে তার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করা এক বার্তায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন যে, সিরিয়ায় মার্কিন বাহিনী অত্যন্ত গুরুতর প্রতিশোধ নিচ্ছে এবং সিরিয়ার সরকার তাদের পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে।
সূত্র: রয়টার্স

