উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ পদত্যাগ সম্পর্কে যা বললেন
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া জানিয়েছেন যে, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে তার পদত্যাগপত্র ঘোষণা করা হবে। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
দায়িত্বশীল সরকারি সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে কয়েকজন জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা দেখা করেন। সাধারণত, প্রতি গতকাল উপদেষ্টারা মধ্যাহ্নভোজের সাথে দেখা করেন। বৈঠকে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগের বিষয়টি উঠে আসে। সন্ধ্যায়, দায়িত্বশীল সরকারি কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন যে, আজ আসিফ মাহমুদ পদত্যাগ করছেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম এবং আসিফ মাহমুদকে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে পদত্যাগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তবে তারা আরও সময় চেয়েছিলেন। এদিকে, উপদেষ্টা মাহফুজ আলম সরকারের শেষ পর্যন্ত থাকার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। সেক্ষেত্রে তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না বলেও জানিয়েছেন।
পরবর্তীতে, গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে, সূত্র জানিয়েছে যে সরকার আবারও দুই উপদেষ্টাকে উচ্চ পর্যায়ের পদ থেকে পদত্যাগ করার জন্য অনুরোধ করেছে। সরকার-সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, অন্তর্বর্তী সরকারের উচ্চ পর্যায়ের পদসহ উপদেষ্টা পরিষদের অনেকেই এই বিষয়ে একমত যে তফসিল ঘোষণার পর দুই ছাত্র প্রতিনিধির উপদেষ্টার সরকারে থাকা উচিত নয়। তারা নির্বাচন করুক বা না করুক, তাদের পদত্যাগ করতে হবে। গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। এই সরকারে জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্বদানকারী তিনজন ছাত্র সরকারে স্থান পান। তাদের মধ্যে নাহিদ ইসলাম তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় পান। আসিফ মাহমুদকে প্রথমে শ্রম উপদেষ্টা এবং পরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় দেওয়া হয়। মাহফুজ আলম প্রথমে উপদেষ্টা পদমর্যাদা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হন।

