১০১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘সম্পূর্ণ বন্ধ’
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার ১০১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকরা তাদের তিন দফা দাবি পূরণে ‘সম্পূর্ণ বন্ধ’ কর্মসূচি পালন করছেন। তাদের তিন দফা দাবি পূরণে ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’-এর ডাকে আজ বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল থেকে তারা এই কর্মসূচি পালন করছেন। চলমান বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
সকাল ১১টার দিকে ঝিনাইগাতী সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দেখা যায়, স্কুলের সকল শ্রেণীকক্ষ তালাবদ্ধ। সকল ধরণের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ। উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষক স্কুল মাঠে বসে আছেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির ঝিনাইগাতী উপজেলা শাখার আহ্বায়ক শিক্ষিকা মনোয়ারা বেগম, সদস্য সচিব শিক্ষক এসএম রাজান, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আলমগীর হোসেন প্রমুখ।
ঝিনাইগাতী সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী প্রিয়ন্তী বলেন, ‘আজ আমাদের বাংলা পরীক্ষা ছিল। আমি খুব ভালো প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম; এখন জানতে পারলাম আজ কোন পরীক্ষা হবে না।’ নাদিয়া আক্তার নামে একজন অভিভাবক বলেন, ‘আমার মেয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ে। আজ তার বাংলা পরীক্ষা ছিল; এখন জানতে পারলাম শিক্ষকদের আন্দোলনের কারণে পরীক্ষা সহ সকল শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। যদি সময়মতো পরীক্ষা শেষ না হয়, তাহলে মেয়েকে তার দাদা-দাদির বাড়িতেও যেতে দেওয়া হবে না।’
বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির ঝিনাইগাতী উপজেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ঘোষণা অনুযায়ী আমরা এই উপজেলার ১০১টি স্কুলে ‘সম্পূর্ণ বন্ধ’ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছি। পরবর্তী নির্দেশনা অনুযায়ী আমাদের কাজ অব্যাহত থাকবে।’
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ফারহানা পারভীন বলেন, ‘আমরা বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেছি। শিক্ষকরা কোথাও পরীক্ষা দেননি। তারা তাদের দাবি আদায়ের জন্য ‘সম্পূর্ণ বন্ধ’ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছেন। বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’

