স্ত্রীকে হত্যার পর ব্যাগে করে লাশ পাওয়ার ঘটনায় স্বামীর দোষ স্বীকার
ঢাকার শাহজাহানপুরে স্ত্রীকে হত্যার পর ব্যাগে করে লাশ রাখার মামলায় স্বামী আশিকুর রহমান (২৬) দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। আদালত আশিকুরের ছোট ভাই সাইফুল ইসলামকে (২৪) কারাগারে পাঠানোর নির্দেশও দিয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহজাহানপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মহসিন তালুকদার গতকাল মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) দুজনকে আদালতে হাজির করেন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল রানা অভিযুক্ত আশিকুরের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। আরেক মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জামশেদ আলম অভিযুক্ত সাইফুলের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার বিবরণ অনুসারে, প্রেমের সম্পর্কের কারণে এবং পরিবারের অনিচ্ছার বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে আশিকুর এবং সুরুবি আক্তার মাহফুজার বিয়ে হয়। তাদের চার বছরের একটি ছেলে আছে। ১ নভেম্বর থেকে তারা মালিবাগের বকশিবাগে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতে শুরু করে। সেদিন সাইফুল তার ভাগ্নেকে তার বাড়ি থেকে শরীয়তপুরের জাজিরার পালেরচরে তার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যায়। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে বৈবাহিক বিরোধ চলছিল।
এরই ধারাবাহিকতায়, তার বাবা নুরুল হক খান অভিযোগ করেন যে, ৩ নভেম্বর রাত ১টা থেকে ১:৩০ মিনিটের মধ্যে আশিকুর রহমান এবং অজ্ঞাত সহযোগীরা মাহফুজাকে হত্যা করে। তারা লাশ লুকানোর জন্য বেঁধে রাখে এবং পরের দিন দুপুর ১২টার দিকে পালিয়ে যায়। মাহফুজা সাড়া না দিলে, দুপুর ১:৩০ মিনিটের দিকে প্রতিবেশীরা তাকে ডাকতে শুরু করে। তারা দরজায় ধাক্কা দিতে শুরু করে। এক পর্যায়ে দরজা খুলে যায়। তার আশেপাশের লোকেরা প্লাস্টিকের ব্যাগটি দরজা আটকে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ এবং সিআইডি পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। এই ঘটনায় ৪ নভেম্বর শাহজাহানপুর থানায় মামলা দায়ের করে নুরুল হক।

