রাজনীতি

রাজনীতি রাজনীতিবিদদের হাতে থাকা উচিত: রিজভী

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘রাজনীতি রাজনীতিবিদদের হাতে থাকা উচিত। অন্য কেউ এলে তারা এই উপলব্ধি বুঝতে পারবে না যে বাতাস পরিষ্কার হওয়া দরকার, পানি পরিষ্কার হওয়া দরকার।’ আজ রবিবার (২৩ নভেম্বর) নয়াপল্টনের ভাসানী ভবনে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাইফুল ইসলাম পটুর আত্মার শান্তি কামনায় আয়োজিত প্রার্থনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘ঢাকা শহরের রাজউক এলাকার প্রায় ৯৫ শতাংশ ভবন অনুমতি ছাড়াই নির্মিত এবং রাজউক চোখ বন্ধ করে আছে। যদি আমরা এই পরিস্থিতি থেকে উন্নতি করতে না পারি, তাহলে আমরা শূন্যতার দিকে চলে যাব। তাহলে আমাদের আর বাসযোগ্য বাংলাদেশ, বাসযোগ্য পৃথিবী থাকবে না।’ তিনি বলেন, ‘ভূমিকম্পের মধ্য দিয়ে আমাদের অর্জন করতে হবে, রাজনীতি যারা করে তাদের সকলের অর্জন করার সময় এসেছে। যদি আমরা তা করতে না পারি, তাহলে আমরা শূন্য গর্তে হারিয়ে যাব। আসুন আমরা বাসযোগ্য বাংলাদেশ এবং বাসযোগ্য পৃথিবী গড়ে তুলি।’
বিএনপি নেতা ঢাকার পরিবেশগত বিপর্যয় এবং অপরিকল্পিত নগরায়নের জন্য শাসকগোষ্ঠীকে দায়ী করে বলেন, ‘১৯৯৭-৯৮ সালে পল্টন অফিসের সামনে একটি খাল ছিল, কিন্তু এখন তা নেই। যারা নগর পরিকল্পনাবিদ, তাদের কাছে পরিবেশ, বিশুদ্ধ বাতাস, খাল এবং নদীই শত্রু। নইলে ধোলাইখাল বন্ধ না করে কেন এটি পরিষ্কার এবং পরিষ্কার রাখা হয়নি?’
তিনি বলেন, ‘মোঘল আমলের কারওয়ান বাজার। এখানে একটি নদী ছিল। এক সময় পালতোলা নৌকা আসত। জাহাজ আসত। আমরা এই নদী রক্ষা করিনি, আমরা এটি নিয়ে ভাবিনি। দ্রুত ভরাট করে ফেলি, জায়গা দখল করি। কোনও পরিকল্পনা ছাড়াই, আমরা এখানে বাড়ি তৈরি করব, ভাড়া দেব অথবা বিক্রি করে টাকা রোজগার করব। তারা তাদের গ্রামের জমি বিক্রি করে ঢাকায় ফ্ল্যাট কিনছে। মানুষ খুব দ্রুত বড় মানুষ হতে চায়। তারা সেই বিশাল ধানক্ষেত, সেই নদী, সেই পুকুর আর রাখতে চায় না। টাকাকে দেবতা মনে করা হয়। এই কারণেই আজ আমরা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ছি। এই কারণেই আমরা বলছি, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের উপর ছেড়ে দিন, যারা রাজনীতি করছেন। অন্য কেউ যদি এখানে আসেন, তারা সেই অর্জন বুঝতে পারবেন না।’
রিজভী প্রয়াত নেতা সাইফুল ইসলাম পটুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ‘পটু ছিলেন একজন ‘দল-পাগল’ কর্মী, যিনি গুরুতর অসুস্থতা থেকে বেঁচে ফিরে আবার দলের কর্মসূচি ও মিছিলে সক্রিয় হয়ে ওঠেন। তার ঘাম ঝরানো, তার দলের জন্য তার সাহসী ভূমিকায় কোনও ভুল ছিল না।’ তিনি বলেন, ‘হাসিনার সাড়ে ১৪ বছরের আগ্রাসন, পুলিশের গুলি এবং ভয়াবহ লাঠিচার্জের সময়ও আমি তাকে আমার পাশে দৌড়াতে দেখেছি। পটুর মতো অনেক নিবেদিতপ্রাণ, পরিশ্রমী এবং প্রতিভাবান নেতা সমাজে যথাযথ প্রশংসা পান না।’