ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরো সায়েন্স হাসপাতালের উপ-পরিচালক অধ্যাপক ডা. বদরুল আলম বলেন, ওয়াহিদার মাথায় অস্ত্রোপচার শেষে রাতেই অপারেশন থিয়েটার থেকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। তিনি বলেন, তার স্বাস্থ্যগত সার্বিক পরিস্থিতির বিষয়ে এখনই সিদ্ধান্ত নেয়ার পর্যায়ে আসেনি। আরও পর্যবেক্ষণ শেষে শনিবার এ বিষয়ে আমাদের মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা বৈঠকে বসবেন। সেখানেই তার চিকিৎসার পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে বর্তমানে ওয়াহিদার শারীরিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে বলা যায়।
অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে জ্ঞান ফেরার পর ওয়াহিদা খানম চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি তার স্বামীর সঙ্গেও কথা বলেছেন। জানতে চাইলে ওয়াহিদা খানমের স্বামী মেজবাহুল হোসেন টেলিফোনে যুগান্তরকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, চিকিৎসকদের সঙ্গে তার কথা হয়েছে। তারা বলেছেন, রোগীর অবস্থা স্থিতিশীল। তবে ৭২ ঘণ্টা শেষ না হওয়া পর্যন্ত সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলা যাবে না।
বুধবার রাতে ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদ ক্যাম্পাসে ইউএনওর বাসভবনের ভেন্টিলেটর দিয়ে বাসায় ঢুকে ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলীর ওপর দুর্বৃত্তরা হামলা করে। গুরুতর আহত ওয়াহিদাকে প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকায় পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে ইউএনও ওয়াহিদার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ও ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটালের অধ্যাপক ডা. জাহিদুর রহমানের নেতৃত্বে তার অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। রাত সোয়া ৯টা থেকে শুরু হয়ে রাত সোয়া ১১টা পর্যন্ত চলে এ অস্ত্রোপচার।