চট্টগ্রামে বিএনপি প্রার্থীর উপর হামলার ঘটনায় সরকার যা বলল
চট্টগ্রাম-৮ আসনের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর নির্বাচনী প্রচারণা অনুষ্ঠানে সহিংস হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
গতকাল বুধবার (৫ নভেম্বর) রাতে প্রধান উপদেষ্টার যাচাইকৃত ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) তাৎক্ষণিক তদন্তে দেখা গেছে যে এরশাদ উল্লাহ হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিলেন না; তার শরীরে একটি গুলি লেগেছে। সরকার ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। একই সাথে, সরকার আহত এরশাদ উল্লাহর দ্রুত আরোগ্য কামনা করে।
এই ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের প্রতি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করার পাশাপাশি, সরকার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারীদের নিরাপত্তা ও অধিকার রক্ষার জন্য তার দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে যে, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অপরাধীদের সনাক্ত, গ্রেপ্তার এবং বিচারের আওতায় আনার জন্য নিরাপত্তা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন।
রাজনৈতিক ও সামাজিক জীবনে সহিংসতা ও ভীতি প্রদর্শনের কোনও স্থান নেই উল্লেখ করে সরকার জানিয়েছেন যে, সিএমপি ইতিমধ্যেই আক্রমণকারীদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান শুরু করেছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সকল রাজনৈতিক দল এবং তাদের সমর্থকদের শান্ত থাকার, সংযম প্রদর্শনের এবং ফেব্রুয়ারির সাধারণ নির্বাচন শান্তি, মর্যাদা ও ন্যায্যতার পরিবেশে অনুষ্ঠিত হওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সারা দেশে অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণেরও আশ্বাস দিয়েছে। প্রসঙ্গত, গতকাল সন্ধ্যায়, বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন হামজারবাগ চালিতলী এলাকায় এক জনসভা চলাকালীন গুলিবিদ্ধ হয়ে চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এবং নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ গুরুতর আহত হন। সেই সময় এরফানুল হক শান্ত নামে স্বেচ্ছাসেবক দলের একজন নেতাও গুলিবিদ্ধ হন।

