উপদেষ্টা পরিষদের সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত
ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের দীর্ঘদিনের মিত্র রাজনৈতিক দলগুলিকে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব (যদি সম্ভব হয় আগামী সপ্তাহের মধ্যে) সরকারকে ঐক্যবদ্ধ নির্দেশনা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। যদি এই ধরনের নির্দেশনা পাওয়া যায়, তাহলে সরকারের পক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া অনেক সহজ হবে। আমাদের সকলকে মনে রাখতে হবে যে বর্তমান পরিস্থিতিতে বিলম্বের কোনও সুযোগ নেই।
২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে পরবর্তী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সরকারের দৃঢ় সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে। জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশন কর্তৃক প্রস্তুত জুলাই মাসের সনদ এবং এর বাস্তবায়ন সম্পর্কিত বিষয়গুলি নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদের একটি জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে ঐক্যমত্য কমিশন এবং রাজনৈতিক দলগুলিকে সংস্কারের বিষয়ে ঐক্যমত্য প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা এবং অনেক বিষয়ে ঐক্যমত্য প্রতিষ্ঠার জন্য ধন্যবাদ জানানো হয়। উপদেষ্টা পরিষদের সভায় জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশন কর্তৃক প্রস্তাবিত জুলাই মাসের জাতীয় সনদ (সাংবিধানিক সংস্কার) আদেশের চূড়ান্তকরণ, গণভোটের সংগঠন এবং তাতে উল্লেখিত গণভোটের বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করা হয়। দেখা গেছে যে ঐক্যমত্য কমিশনে দীর্ঘ আলোচনা সত্ত্বেও, কিছু সংস্কারের সুপারিশ নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে। এছাড়াও, গণভোট কখন অনুষ্ঠিত হবে এবং এর বিষয়বস্তু কী হবে এই প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে যে মতপার্থক্য দেখা দিয়েছে তা নিয়ে সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে, সভায় মতামত প্রকাশ করা হয়েছে যে গণভোট কখন অনুষ্ঠিত হবে, গণভোটের বিষয়বস্তু কী হবে এবং জুলাই মাসের সনদে উল্লেখিত মতপার্থক্য সম্পর্কে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে সে সম্পর্কে ঐক্যমত্য কমিশনের প্রস্তাবের আলোকে জরুরি ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন।

