দেশজুড়ে

মেট্রোরেল দুর্ঘটনা: মৃত কালামের জানাজা সম্পন্ন

রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেলের পিলারের বেয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত আবুল কালাম আজাদের জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। আজ সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকাল ৯টায় শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ঈশ্বরকাঠি গ্রামে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা শেষে তার মরদেহ দাফন করা হয়েছে।
এর আগে, গতকাল রবিবার রাত ১০টায় সিদ্ধিরগঞ্জের নতুন আইলপাড়া এলাকার বায়তুল ফালাহ জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। মৃত আবুল কালাম আজাদ ঢাকার একটি ট্রাভেল এজেন্সিতে টিকিট বিক্রেতা হিসেবে কাজ করতেন। তিনি তার স্ত্রী এবং দুই সন্তানকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের আইলপাড়া এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। গতকাল রবিবার দুপুর ১২টার দিকে ফার্মগেট মেট্রো স্টেশন সংলগ্ন বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটের সামনে মেট্রোরেলের একটি ভারী বেয়ারিং প্যাড পড়ে যাওয়ার পর পথচারী আবুল কালাম ঘটনাস্থলেই মারা যান।
তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোবারক হোসেন আমাদেরকে বলেন, গত রবিবার দুপুর ১২টার কিছু পরে ফার্মগেট মেট্রো স্টেশনের অধীনে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটের সামনের ফুটপাতে আবুল কালাম হাঁটছিলেন। সেই সময় উপর থেকে একটি বেয়ারিং প্যাড তার উপর পড়ে এবং ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। ময়নাতদন্তের পর মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ঘটনার পর দুপুর ১২:৩০ থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত মেট্রো রেল বন্ধ ছিল। পরে, কারিগরি সমস্যা পরীক্ষা করে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রো রেল স্বাভাবিকভাবে চলাচল অব্যাহত রাখে। আজ সকাল ১১টা থেকে মেট্রো রেল পুনরায় চালু হবে।
সরকার কালামের পরিবারের দায়িত্ব গ্রহণ করে
দুর্ঘটনার পরপরই, সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফৌজুল কবির খান, প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ, ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী ফারুক আহমেদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং ডিএমটিসিএলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
উপদেষ্টা ফৌজুল কবির খান বলেন, ঘটনাটি নাশকতা নাকি নির্মাণ ত্রুটির কারণে তা খুঁজে বের করার জন্য সেতু বিভাগের সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। নিহতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, নিহত আবুল কালামের দাফনের সকল ব্যবস্থা মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ করবে। তার পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। এছাড়াও, তার পরিবারে যদি কেউ কাজ করতে সক্ষম থাকে, তাহলে তার যোগ্যতা অনুযায়ী তাকে মেট্রো রেলে চাকরি দেওয়া হবে। মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ তার পরিবারের দায়িত্ব নিয়েছে।