দেশজুড়ে

জনতার হাতে ধরা পড়া ২ চোরকে মুক্তি দিল পুলিশ

কুমিল্লার চান্দিনায় একটি বাড়ি থেকে চুরি করার সময় স্থানীয়রা দুই চোরকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। পরে জনতা তাদের মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পুলিশ আহত দুই চোরকে পুলিশ হেফাজতে না নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে ছেড়ে দেয় বলে অভিযোগ উঠেছে। শারীরিক অসুস্থতার অজুহাতে গ্রেপ্তার দুই চোরকে থানায় না আনায় স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। গত সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার গল্লাই ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামে জাকির হোসেন ও হানিফ নামে দুই চোর চুরি করার জন্য মিজানুর রহমানের বাড়িতে প্রবেশ করে। এ সময় গৃহকর্তা চোর জাকির হোসেনকে ধরে ফেলেন। অপর চোর হানিফ পালিয়ে যায়। স্থানীয় জনতা গ্রেপ্তার জাকির হোসেনকে মারধর করার পর হানিফকেও খুঁজে পাওয়া যায় এবং তাকে মারধর করে।
গ্রেপ্তার হওয়া চোর জাকির হোসেন কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার বরকামতা ইউনিয়নের ইন্দ্রারচর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বসন্তপুর গ্রামে দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন এবং গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করেন এবং সেখানে সংঘবদ্ধ চোরদল গঠন করেন। তার সহযোগী হানিফ বসন্তপুর গ্রামের শহীদ মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বসন্তপুরের গ্রামবাসীরা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় গরু চুরি এবং বাড়ি চুরির যন্ত্রণায় ভুগছেন। গত সোমবার মধ্যরাতে একদল চোর ওই গ্রামের মিজানুর রহমানের বাড়িতে চুরি করার জন্য প্রবেশ করে। তাদের গ্রেপ্তার করে মারধর করা হলে তারা এলাকার প্রায় সব চুরির কথা স্বীকার করে। ঘটনাটি নিশ্চিত হওয়ার পর, স্থানীয়রা পুলিশের জরুরি নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করে এবং চান্দিনা থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক শাহাদাত হোসেনের নেতৃত্বে একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশের উপস্থিতি দেখে চোররা গুরুতর অসুস্থতার ভান করে মাটিতে পড়ে যায় এবং পুলিশ তাদের ঘটনাস্থলেই ছেড়ে দেয়।
চান্দিনা থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক শাহাদাত হোসেন বলেন, চোরদের স্থানীয়রা মারধর করে গুরুতর আহত করেছে। তাই আমরা তাদের থানায় না এনে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এছাড়াও, এলাকার জনপ্রতিনিধিরাও আশ্বাস দিয়েছেন যে তারা ২-১ দিনের মধ্যে বসে বিষয়টি সমাধান করবেন।
গল্লাই ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আনিসুর রহমান মিন্টু বলেন, সমস্যা সমাধানের বিষয়টি মূলত এলাকার অনেক বয়স্ক ব্যক্তিই তুলে ধরেছেন। চিকিৎসার পর তারা সুস্থ হয়ে উঠলে আমরা সমস্যাটির সমাধান করব।
এই বিষয়ে চান্দিনা থানার ওসি জাবেদ উল ইসলাম বলেন, কেউ অভিযোগ করেনি, তারা নিজেরাই বিষয়টি সমাধান করেছেন। এ কারণেই পুলিশ গুরুতর অবস্থায় কাউকে নিয়ে আসেনি। যাদের বাড়ি লুট হয়েছে তারা কোনও মামলা করবে না। তারা অভিযোগও করেনি, এমনকি থানায়ও আসেনি।