দগ্ধদের চিকিৎসায় কোনও অবহেলা করা হবে না বলে আশ্বাস দিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, গাজীপুরের অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধদের, ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সহ, সর্বোচ্চ স্তরের চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘সরকার দগ্ধদের সকল প্রয়োজনীয় সহায়তা দিচ্ছে। চিকিৎসায় কোনও অবহেলা করা হবে না।’ আজ মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি টঙ্গী দুর্ঘটনায় দগ্ধদের দেখতে গিয়ে তিনি এই আশ্বাস দেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনারা জানেন, গতকাল (সোমবার) একটি বড় দুর্ঘটনা ঘটে। আমাদের ফায়ার সার্ভিসের চারজন কর্মী সেখানে দগ্ধ হন। তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা পুড়ে যাওয়ার পরিমাণের কারণে গুরুতর এবং একজনের অবস্থা কিছুটা কম। এই হাসপাতালটি একটি আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতাল। এখানকার চিকিৎসা খুবই ভালো। এখানকার চিকিৎসকরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন। দ্রুত আরোগ্য লাভের জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করুন।’
তিনি আরও বলেন, ‘দগ্ধদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় সকল সহায়তা ফায়ার সার্ভিস, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং সরকার প্রদান করবে।’
তখন রাসায়নিক গুদাম অপসারণের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘পুরাতন ঢাকায় রাসায়নিক দুর্ঘটনা ঘটলে সেই গুদামগুলো মুন্সিগঞ্জে স্থানান্তরিত করা হয়। টঙ্গীর ঘটনা একটি দুর্ভাগ্যজনক দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনা তো দুর্ঘটনাই। আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করব।’
দগ্ধদের চিকিৎসার বিষয়ে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দিন বলেন, তাদের তিনজনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক কারণ তাদের শরীরের ৪০ শতাংশেরও বেশি পুড়ে গেছে। তবে একজন আশঙ্কামুক্ত।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে গাজীপুরের টঙ্গীর নতুন বাজার রেলগেট সাহারা মার্কেট এলাকার একটি রাসায়নিক গুদামে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের ফলে সৃষ্ট আগুনে ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মকর্তা এবং চারজন দমকলকর্মী দগ্ধ হন। আগুন নিয়ন্ত্রণে সাতটি ইউনিট কাজ করছে।
ঢাকা জোন-৩ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল মান্নান বলেন, বিস্ফোরণের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য যখন তারা কাজ শুরু করেন, তখন একজন ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা এবং তিনজন দমকলকর্মী দগ্ধ হন।