• বাংলা
  • English
  • বিজ্ঞান ও প্রজক্তি

    চট্টগ্রামে নতুন প্রজাতির ব্যাঙ

    চট্টগ্রামের চুন্তি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে আরেকটি নতুন প্রজাতির ব্যাঙ দেখা গেছে। এটি ফাইনোগ্লোসাস বর্গের। এর শারীরিক গঠন পি। মার্টেনসির প্রজাতির কাছাকাছি। যাইহোক, কিছু দৃশ্যমান পার্থক্য আছে। এই নতুন প্রজাতির বৈজ্ঞানিক নাম দেওয়া হয়েছে Phrynoglossus swanbornorum। গবেষকরা ব্যাঙের শারীরিক পরিমাপ, আণবিক বিশ্লেষণের পাশাপাশি ডাক বিশ্লেষণ করেছেন, যা অন্যান্য ব্যাঙের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। এই ব্যাঙের নাম দেওয়া হয়েছে ‘গাটা বাং’ কারণ এটি চট্টগ্রামের নামানুসারে এবং একটি গর্তবাসী। তবে এই নতুন প্রজাতির অস্তিত্ব হুমকির মুখে। উন্নয়ন কার্যক্রম এবং কৃষি সম্প্রসারণ এবং কীটনাশকের ব্যাপক ব্যবহারের কারণে ব্যাঙগুলি হুমকির মুখে রয়েছে।

    সৃজনশীল সংরক্ষণ জোট এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের যৌথ গবেষণায় ব্যাঙের নতুন প্রজাতি পাওয়া গেছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক দুটি প্রতিষ্ঠানের গবেষণা সহকারী ছিলেন। আসাদুজ্জামান, ছাত্র মারজান মারিয়া, গবেষক হাসান আল রাজী, ফাহিমুজ্জামান নোবেল, শাহরিয়ার সিজার রহমান এবং স্কট ট্রেজার্স।

    জানা গেছে, ২০১৯ সালের জুন মাসে তারা চট্টগ্রাম বিভাগের চুনটি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য থেকে এই ব্যাঙের নমুনা সংগ্রহ করে। গবেষণায় ব্যাঙগুলি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করে, কেউ বুঝতে পারে যে এটি আমাদের পরিচিত ব্যাঙগুলির থেকে কিছুটা আলাদা। তারা তখন এটি নিয়ে আরো গবেষণা করে এবং নিশ্চিত করে যে এটি ছিল বিশ্বের নতুন প্রজাতির ব্যাঙ। পরে তারা তাদের গবেষণা প্রতিবেদনটি আমেরিকান পিআরজে জার্নালে জমা দেয়। ছয় মাস পর্যালোচনার পর তারা এটি অনুমোদন করে। ক্রিয়েটিভ কনজারভেশন অ্যালায়েন্সের সহায়তায় ১৯ আগস্ট গবেষণাটি প্রকাশিত হয়।

    “ব্যাঙের নতুন প্রজাতি আমাদের তৃতীয় আবিষ্কার,” বলেছেন গবেষক হাসান আল-রাজি। নতুন কিছু গবেষণার মাধ্যমে বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে উপস্থাপন করা খুবই আনন্দের। তিনি বলেন, গবেষণার জন্য বন্য পরিবেশের দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত। আজকাল, বন্য প্রাণী প্রায়ই মানুষের দ্বারা নির্যাতিত হয়। পরিবেশ রক্ষায় আমাদের আরো সোচ্চার হওয়া দরকার।

    মন্তব্য করুন