বিবিধ

অপহরণের পর শিশুটিকে ৬,০০০ টাকায় বিক্রি করা হয়

রাজধানীর কদমতলী এলাকায় ওমর ফারুক নামের ৩ বছর বয়সী ছেলেটি তার বাড়ির সামনে খেলছিল। ৫ আগস্ট তিনি নিখোঁজ হন। শিশুটির আত্মীয়রা যখন থানায় জিডি করেন, তখন পুলিশ ওই এলাকার ৫৫ টি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখেন যে, দুজন লোক তাকে নিয়ে যাচ্ছে। অবশেষে ঘটনার ৭দিন পর শুক্রবার রাতে পুলিশ মানিকগঞ্জ থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে। জানা গেছে, তাকে অপহরণের পর মাত্র ৬,০০০টাকায় বিক্রি করা হয়। অপহরণের সঙ্গে জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃত পাঁচজন হলেন- মো.আলীম, সজিব চন্দ্র দাস, শ্যাম চন্দ্র দাস, বাবুল সরকার এবং তার স্ত্রী মিনুকা রানী।

পুলিশের ওয়ারী বিভাগের উপ -পুলিশ কমিশনার শাহ ইফতেখার আহমেদ বলেন, ঘটনা জানার পর পুলিশ সব ধরনের উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে। ঘটনাস্থল থেকে শুরু করে বিভিন্ন এলাকা থেকে ৫৫ টি সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।

তিনি বলেন, শিশুটিকে বিক্রির করার উদ্দেশে অপহরণ করা হয়েছে। তাকে বিক্রিও করা হয়েছিল। তবে উদ্ধারের পর শনিবার শিশুটিকে তার বাবা -মায়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

কদমতলী পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) জাকির হোসেন বলেন, লেগুনা চালক আলীম ও সজিব শিশুটিকে অপহরণ করে। এরপর তাকে শ্যামচন্দ্রের মাধ্যমে মনিগঞ্জের বাবুল সরকার এবং মিনুকা রানীর কাছে বিক্রি করা হয়।

বাবুল সরকার পুলিশকে জানান, তার একটি ছেলে রয়েছে। তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান। তারপর তিনি একটি দত্তক পুত্র খুঁজছিলেন। এর জন্য প্রাক্তন পরিচিত শ্যাম চন্দ্র তাকে বলেন যে কিছু টাকা লাগলেও তিনি একটি ছেলেকে দত্তক নিতে চান। তিনি জানতেন না যে শিশুটিকে অপহরণ করা হয়েছে।

কদমতলী পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সজীব দে বলেন, শ্যাম চন্দ্র আলীম ও সজিবকে বলেন যে তারা যদি সন্তান দিতে পারে, তাহলে তাদের এক লাখ টাকা দেওয়া হবে। তবে ওমর ফারুক নামের শিশুটিকে অপহরণের পর তারা টাকা পায়নি। প্রধান অপহরণকারী আলিম ও সজিব জানান, এটি বিক্রি হয়েছে মাত্র ৬,০০০ হাজার টাকায়। তবে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

Leave a Reply