• বাংলা
  • English
  • জাতীয়

    সারা দেশে গণ টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে

    প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে দেশজুড়ে ব্যাপক টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

    শনিবার সকাল ৮টা থেকে সকল সিটি কর্পোরেশন, ইউনিয়ন ওয়ার্ড এবং দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এই টিকা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

    স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এবিএম খুরশিদ আলম বলেন, এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় আনার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে আমরা ৩২ লাখ মানুষকে টিকার আওতায় আনব। তাদের প্রত্যেকের জন্য ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজও সরবরাহ করে রাখা হবে। নিয়মিত টিকা কার্যক্রম অব্যাহত রেখে ক্যাম্পেইন পরিচালিত হবে।

    শনিবার দেশের সকল ইউনিয়ন, পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশনে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

    তবে সিটি কর্পোরেশন এলাকায় শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত টানা তিন দিন টিকা কার্যক্রম চলবে। রবিবার এবং সোমবার প্রত্যন্ত অঞ্চলে টিকা কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

    আগামী মঙ্গলবার, বুধবার ও বৃহস্পতিবার ৫৫ বছরের বেশি বয়সী রোহিঙ্গাদের মধ্যে টিকা কার্যক্রম চালানো হবে। ৩২,৭০৬ টিকাদানকারী এবং ৪৮,৪৫৯ জন স্বেচ্ছাসেবক এই টিকা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন।

    আগামী ৭ থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত ৬ দিনে প্রায় ৩২ লাখ মানুষকে প্রথম ডোজ দিয়ে সারা দেশে ১৫,০০০ টিরও বেশি টিকা কেন্দ্রে টিকা দেওয়া হবে।

    ইউনিয়ন, পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ছয় দিনের বিশেষ ক্যাম্পেইন আলাদাভাবে পরিচালিত হবে। ২৫ বছরের বেশি যারা নিবন্ধন করতে পারেননি তারাও এই সময়ে টিকা নিতে পারবেন।

    ৫০ বছর বা তার বেশি বয়সী, নারী ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তি এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

    অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম বলেন, দেশের ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। তার মানে প্রায় ১৪ কোটি মানুষকে টিকা দিতে হবে। তাই এত লোককে টিকা দেওয়ার জন্য, বড় পরিসরে প্রচারণা চালিয়ে একটি উদ্দীপনা তৈরি করা প্রয়োজন। অন্যথায় দ্রুততম সময়ে সবাইকে টিকা দেওয়া সম্ভব হবে না।

    মন্তব্য করুন