ইসরাইলি বিরোধী নেতার গাজা যুদ্ধ বন্ধের জোর দাবি
ইসরায়েলি সরকার জনগণের সমর্থন হারিয়ে ফেলেছে, দেশটির বিরোধী নেতা ইয়ার ল্যাপিড দাবি করেছেন। তিনি আরও বলেছেন যে নেতানিয়াহু সরকারের গাজায় যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার কোনও অধিকার নেই। রবিবার (৩ আগস্ট) সোশ্যাল মিডিয়া এক্স-এ এক পোস্টে ইয়ার ল্যাপিড বলেন, “অনাদিকাল থেকে, ইসরায়েলের যুদ্ধের জন্য একটি অপরিহার্য শর্ত হলো জনগণের সমর্থন। যদি সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ সরকারকে সমর্থন না করে, যদি তারা রাজনৈতিক নেতৃত্বের উপর আস্থা না রাখে, তাহলে ইসরায়েল রাষ্ট্র যুদ্ধ করতে পারবে না।” তিনি আরও বলেন, “এই শর্তগুলির কোনওটিই এখন পূরণ করা হয়নি। গাজা যুদ্ধ শেষ করার এবং জিম্মিদের ফেরত দেওয়ার সময় এসেছে।” গাজায় যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে এবং জিম্মিদের মুক্তি দিতে ব্যর্থতার জন্য প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকারের উপর ক্রমবর্ধমান অভ্যন্তরীণ চাপের মধ্যে ল্যাপিডের এই মন্তব্য এসেছে। গাজায় যুদ্ধ শেষ করতে এবং ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য ইসরায়েলের উপর ক্রমাগত চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে বিশ্লেষকরা মনে করেন যে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর একগুঁয়ে মনোভাব এবং স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের জন্য উপযুক্ত মডেলের অভাবের কারণে এই অঞ্চলের সার্বভৌমত্বের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এর একটি বিশ্লেষণাত্মক প্রতিবেদন অনুসারে, এর বাস্তবায়নের সম্ভাবনা বেশ ক্ষীণ। এর পেছনের কারণ আধুনিক বিশ্বে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের মডেলের অভাব বলে জানা গেছে। বিশ্লেষকদের মতে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ফিলিস্তিনের অস্তিত্ব নিয়ে একটি বড় প্রশ্ন চিহ্ন ঝুলছে। অন্যদিকে, গাজা, পশ্চিম তীর এবং জেরুজালেমের উপর ইসরায়েলের আধিপত্য ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ১৯৯০ সালের অসলো চুক্তিতে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের ধারণা অন্তর্ভুক্ত হলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। এছাড়াও, প্রশাসনিক দায়িত্ব কে পালন করবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, আন্তর্জাতিক চাপের মুখে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হলেও, এর ভাবমূর্তি কী হবে বা প্রশাসনিক কাঠামো কীভাবে তৈরি হবে তা এখনও অজানা।