সরকারি কর্মচারীরা যদি প্রতিবাদ করে তাহলে বাধ্যতামূলক অবসর গ্রহণ করতে পারবেন।
যদি কোন সরকারি কর্মচারী অন্য কোন সরকারি কর্মচারীর কাজে প্রতিবাদ করে বা বাধা দেয়, তাহলে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা যেতে পারে অথবা বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান করা যেতে পারে। বুধবার (২৪ জুলাই) রাতে প্রকাশিত আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. হাফিজ আহমেদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত ‘সরকারি কর্মসংস্থান (দ্বিতীয় সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫’ এর গেজেটে এ কথা বলা হয়েছে। সরকারের ‘আইনি আদেশ’ অমান্য করাকে ‘সরকারি কাজে বাধা সৃষ্টিকারী অসদাচরণ’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। সংশোধিত অধ্যাদেশ, ‘সরকারি কর্মচারীদের আচরণ ও শাস্তি সংক্রান্ত বিশেষ বিধান’-এর ৩৭ ধারায় বলা হয়েছে যে, যদি কোন সরকারি কর্মচারী তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার আইনানুগ আদেশ অমান্য করেন, আইনি কারণ ছাড়া সরকারের কোনও আদেশ, পরিপত্র এবং নির্দেশ অমান্য করেন বা এর বাস্তবায়নে বাধা দেন বা অন্য কোনও সরকারি কর্মচারীকে এই কাজ করতে প্ররোচিত করেন, তাহলে তা সরকারি কাজে বাধা সৃষ্টিকারী ‘অসদাচরণ’ হিসেবে বিবেচিত হবে। ছুটি বা যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া অন্যান্য সরকারি কর্মচারীদের সাথে একসাথে কাজে অনুপস্থিত থাকা বা অনুপস্থিত থাকা, অথবা অন্যান্য কর্মচারীদের কাজে বাধা দেওয়া, তাও ‘অসদাচরণ’ হিসেবে বিবেচিত হবে। এই ধরনের অসদাচরণের শাস্তি হতে পারে সরকারি কর্মচারীদের নিম্ন পদমর্যাদা বা নিম্ন বেতন গ্রেডে পদাবনতি, বাধ্যতামূলক অবসর, এমনকি চাকরি থেকে বরখাস্ত করা। এছাড়াও, প্রজ্ঞাপনে শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য একজন সদস্যের পরিবর্তে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনের বিধান রাখা হয়েছে। কমিটিতে একজন মহিলা সদস্য থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগও রয়েছে। তবে, পূর্ববর্তী অধ্যাদেশের মতো, সংশোধিত অধ্যাদেশে রাষ্ট্রপতির আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ দেওয়া হয়নি।