আজারবাইজানে সিরিয়া ও ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের বৈঠক!

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার আজারবাইজান সফরের ফাঁকে রাজধানী বাকুতে একজন সিরিয়ান ও একজন ইসরায়েলি কর্মকর্তা মুখোমুখি সাক্ষাৎ করেছেন। দামেস্কের একটি কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, শনিবার (১২ জুলাই) তারা বৈঠক করেছেন। কয়েক দশকের শত্রুতার পর দুই কর্মকর্তা মুখোমুখি সাক্ষাৎ করায় এই বৈঠকটি ইসরায়েল ও সিরিয়ার জন্য একটি বড় পদক্ষেপ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সূত্রটি জানিয়েছে, “আল-শারার বাকু সফরের ফাঁকে একজন সিরিয়ান কর্মকর্তা এবং একজন ইসরায়েলি কর্মকর্তার মধ্যে একটি বৈঠক হয়েছে।” ইসরায়েল আজারবাইজানের একটি প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী এবং ককেশীয় দেশটিতে তাদের উল্লেখযোগ্য কূটনৈতিক উপস্থিতি রয়েছে, যা তার চিরশত্রু ইরানের প্রতিবেশী। সূত্রটি আরও জানিয়েছে যে আল-শারারার সাম্প্রতিক সিরিয়ায় ইসরায়েলি সামরিক উপস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা বৈঠকে আল-শারা নিজে উপস্থিত ছিলেন না। ডিসেম্বরে সিরিয়ার দীর্ঘকালীন শাসক বাশার আল-আসাদের ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর, আল-শারা-নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসনকে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক সম্পদ দখল থেকে বিরত রাখতে ইসরায়েল সিরিয়ায় শত শত বিমান হামলা চালিয়েছে। এদিকে, আল-শারা বারবার বলেছে যে সিরিয়া তার প্রতিবেশীদের সাথে সংঘাত চায় না। বরং, তারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যে তারা ইসরায়েলকে তাদের আক্রমণ বন্ধ করার জন্য চাপ দিন। সিরিয়ার সরকার সম্প্রতি নিশ্চিত করেছে যে তারা ১৯৭৪ সালের বিচ্ছিন্নতা চুক্তিতে ফিরে যাওয়ার জন্য ইসরায়েলের সাথে পরোক্ষ যোগাযোগ করেছে যা বাফার জোন তৈরি করেছিল। গত মাসের শেষের দিকে, ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডিয়ন সার বলেছেন যে ইসরায়েল সিরিয়ার সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য একটি চুক্তিতে আগ্রহী। তবে, রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের উদ্ধৃতি দিয়ে সিরিয়ার একটি সরকারি সূত্র জানিয়েছে যে এটি প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। কিন্তু এই সপ্তাহে লেবানন সফরের সময়, সিরিয়ায় নিযুক্ত মার্কিন বিশেষ দূত টম ব্যারাক বলেছেন যে সিরিয়া এবং ইসরায়েলের মধ্যে সংলাপ শুরু হয়েছে।