কেন ভারতের শত্রু আমিরের বন্ধু?
আমির খান ইনস্টাগ্রাম
ভারতের স্বাধীনতা দিবসের পরদিনই ভারতীয় নেটিজেনরা ধুয়ে দিলেন আমির খানকে। কেননা শুটিং করতে গিয়ে আমির খান দেখা করেছেন তুরস্কের ফার্স্ট লেডি এমিনি এরদোগানের সঙ্গে। আর বেশ কিছুদিন ধরে তুরস্ক ও ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না।
অবশ্য মাঝেমধ্যেই এ রকম অনলাইন ধোলাইয়ের ভেতর দিয়ে যেতে হয় বলিউডের এই মিস্টার পারফেকশনিস্টকে।
বিজ্ঞাপন
বলিউডের সর্বকালের সর্বোচ্চ অর্থ উপার্জনকারী সিনেমার নাম ‘দঙ্গল’। ভারত ও বহির্বিশ্ব মিলিয়ে ছবিটি আয় করেছে ২ হাজার ২৪ কোটি রুপি। এই ‘বহির্বিশ্বে’র একটা বড় অংশজুড়ে রয়েছে চীন। কেননা ছবিটি কেবল চীন থেকে নিয়ে এসেছে ১ হাজার ৩৫০ কোটি রুপির বেশি। কিন্তু বিষয়টিকে মোটেও ভালো চোখে দেখেননি অনেকেই।
ভারত-চীন সীমান্তের যুদ্ধংদেহী পরিস্থিতির কথা কে না জানে! এদিকে ‘দঙ্গল’ সিনেমাটি চীনে সেই সময়ের যেকোনো চীনা সিনেমা থেকে বেশি হল পেয়েছে, বেশি চলেছে। চীনে ছবিটি সুপারডুপার হিট করেছে। আর সেই ‘দোষ’ও ভারতীয়রা চাপিয়েছেন আমির খানের ঘাড়ে।
৫৫ বছর বয়সী আমির খান চীনের মুঠোফোন কোম্পানি ‘ভিভো’র ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হয়েছেন। অন্যদিকে এই ফোন ভারতে বন্ধ করার কথা ভাবছে ভারত। ইতিমধ্যে বেশ কিছু চায়নিজ কোম্পানির পণ্য বন্ধ করেছে ভারত। অন্যদিকে চীনের ‘হটেস্ট’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে অ্যাকাউন্ট আছে আমির খানের। আর সেখানে ১১ লাখ ৬০ হাজার ফলোয়ারও আছে ভারতীয় এই সুপারস্টারের।
আমিরের ছবির জন্য চীন একটা বড় বাজার হওয়ায় বরাবরই আমিরকে কড়া সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়। এদিকে রাষ্ট্রীয় সমাজসেবক সংঘ আমিরকে ‘ড্রাগনদের প্রিয় খান’ (দ্য ড্রাগনস ফেভারিট খান) উপাধি দিয়েছে।
বিজ্ঞাপন
ভারতীয় আরেক গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে ডেকান ক্রনিকল লিখেছে, ‘ভারতের শত্রুরাষ্ট্রের সঙ্গে আমির খানের এহেন সখ্য সন্দেহজনক। এখানে কোনো বড় রাজনৈতিক চাল থাকলেও থাকতে পারে। চীনের কমিউনিস্ট পার্টির প্রিয় পাত্র আমির। তার ছবি সেখানে ভালো করছে অর্থ তারা আমির খানের পৃষ্ঠপোষকতা করছে। এর কোনো রাজনৈতিক মানে আছে।’
অন্যদিকে কয়েক মাস ধরেই ভারত আর পাকিস্তানের এটা-সেটা নিয়ে লেগেই আছে। বেশ একটা ‘শীতল যুদ্ধ’ চলছে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে। এর মধ্যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়েছে তুরস্ক। বিশেষ করে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা সরিয়ে নেওয়ায় ভারতের সমালোচনাও করেছে তুরস্ক। তাই ভারতের স্বাধীনতা দিবসে তুরস্কের ফার্স্ট লেডির সঙ্গে আমিরের সাক্ষাৎকে ভালো চোখে দেখেননি ভারতীয়রা; তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এই বলিউড তারকার প্রতি।
ওদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও দেখা করেছেন আমির। আমির খান আর মোদির হাসিমুখের করমর্দনের ছবিও ঘুরে বেড়াচ্ছে অনলাইনে।