পুরোনো ঘটনাগুলোর বেদনা এখনো তীব্র
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, ‘নিখোঁজ বা গুমের অপরাধ বিশ্বজুড়ে রয়েছে। আমরা প্রায় প্রতিদিন মানুষ নিখোঁজ হওয়ার নতুন নতুন খবর দেখতে পাই। পরিবেশ রক্ষাকর্মী যাঁরা মূলত ক্ষুদ্র জাতিগোষ্টীর, তাঁরাও নিখোঁজ হচ্ছেন। পুরোনো ঘটনাগুলোর বেদনা এখনো তীব্র। নিখোঁজ হাজারো মানুষের ভাগ্য এখনো আমাদের অজানা। হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের বেদনা এখনো প্রিয়জনদের আছে।’
আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবসের এক বাণীতে আজ রোববার এসব কথা বলেন জাতিসংঘ মহাসচিব।বিজ্ঞাপন
সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও আজ আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস পালিত হচ্ছে। জাতিসংঘের উদ্যোগে ২০১১ সাল থেকে বিভিন্ন দেশ দিবসটি পালন করে আসছে। এর আগে ২০১০ সালের ২১ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদ ‘ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন ফর প্রোটেকশন অব অল পারসনস অ্যাগেইনস্ট এনফোর্সড ডিজঅ্যাপিয়ারেন্স’ গ্রহণ করে এবং ৩০ আগস্টকে আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস ঘোষণা করে।
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, নিখোঁজসংক্রান্ত জাতিসংঘের কমিটি লক্ষ করেছে যে সন্ত্রাসবিরোধের নামে, নাগরিক সমাজের সদস্যদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধসহ নানা কারণে অনেকেই নিখোঁজ হচ্ছেন। এসব ঘটনা অতিরিক্ত উদ্বেগের। জোর করে ধরে নিয়ে যাওয়া বা নিখোঁজ হওয়ার ফলে বিশেষত নারী ও এলজিবিটিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বেশি।বিজ্ঞাপন
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, নিখোঁজের ঘটনায় অভিযুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দায়মুক্তি ভুক্তভোগীদের দুর্ভোগ ও মানসিক যন্ত্রণা বাড়িয়ে তোলে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনে, নিখোঁজের ঘটনায় কী কী ঘটেছে, সেই ব্যক্তির পরিবার ও সমাজের সে সম্পর্কে জানার অধিকার রয়েছে। এসব দায়িত্ব পালনের জন্য সদস্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান জাতিসংঘের মহাসচিব।
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, নিখোঁজ হওয়া রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা, নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধান ও তাঁদের স্বজনদের প্রতি সহায়তা বাড়ানোর জন্য আন্তর্জাতিক মানবাধিকারকর্মীদের সহায়তায় দেশগুলোর প্রচেষ্টা জোরদার করা উচিত। নিখোঁজের ঘটনায় বিশ্বাসযোগ্য এবং নিরপেক্ষ বিচার বিভাগীয় তদন্ত চালানোও দরকার।বিজ্ঞাপন
গুতেরেস আরও বলেন, ‘এই আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবসে, জোর করে নিখোঁজ বা গুমের অবসানে আমরা সবাই প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করি। আমি বিশ্বের সব রাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানাই, বলপূর্বক নিখোঁজ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যক্তি সুরক্ষার আন্তর্জাতিক কনভেনশনটি অনুমোদন করুন। অভিযোগ যাচাইসংক্রান্ত কমিটির দক্ষতাও বাড়ান। আর অপরাধ নির্মূলের এটি প্রথম এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’